চট্টগ্রামবন্দর

বহিঃনোঙ্গরে এনওসি বাণিজ্য বন্ধে ১২ সদস্যের কমিটি

চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে বিদেশি মাদারভেসেল ডিক্লেয়ারিং এজেন্টদের অনাপত্তি সনদ (এনওসি) বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। জাহাজে ক্রুপ চেইঞ্জ, প্রভিশন রিপেয়ারসহ বিভিন্ন কাজে ওনার্স প্রোটেকশন এজেন্ট থেকে ঘুষ বাণিজ্যের প্রভাবে খরচ বাড়তো। পাশাপাশি দেশের সুনাম নষ্ট হতো বিদেশি প্রিন্সিপালদের কাছে। দীর্ঘদিনের এ জটিলতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজছে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএএ)।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নগরের আগ্রাবাদের কার্যালয়ে আয়োজিত একটি বৈঠকে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে এশিয়া প্যাসিফিক শিপিং লাইনসের সত্ত্বাধিকারী দোলন বড়ুয়া বলেন, ওনার্স প্রোটেকশন এজেন্ট ও ডিক্লিয়ারিং এজেন্টসহ সবাইকে নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে অন্য অনেকগুলো বিষয় উঠে আসে। তবে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বহিনোঙরে থাকা বিদেশি মাদারভ্যাসেলের এনওসি বাণিজ্য নিয়ে। এটির স্থায়ী সমাধানের জন্য এখন ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ স্ট্যান্ডিং কমিটির দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করবে বোর্ড। এটি হলে আগামীতে আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। আর যদি কিছু হয়েও থাকে, তাহলে তা নিয়ে ওই পাঁচ জনের টিমটি কাজ করবে।

এ প্রসঙ্গে কথা হলে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘এনওসি নিতে গিয়ে টাকা আদায় করার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কয়েকটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে বুধবার আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বৈঠকে বসেছি। শিপিং সেক্টরে বিশৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা এই এনওসি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নিয়েছি। ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিগগির স্ট্যান্ডিং কমিটি এ বিষয়ে কাজ শুরু করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের ডিরেক্টর মো. শাজ্জাদুর রহমানকে আহ্বায়ক করে আরও এসোসিয়েশনের ৬ জন এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্ট থেকে ৬ জনকে সদস্য করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা করে শিপিং এজেন্টদের জানিয়ে দেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *