চট্টগ্রাম

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে কনসার্ট দেখতে না পেরে ভাঙচুর

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কনসার্ট দেখতে একদল তরুণ ভিড় করেছিলেন ক্যাম্পাসে। এভয়ড রাফা নামে ব্যান্ডের গান শোনার জন্য তারা নিজেদের সমন্বয়ক এবং সাধারণ ছাত্র পরিচয় দেন। কিন্তু চমেকের নিজস্ব কনসার্টের বাইরের কেউ ঢুকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও চমেক শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালায় ৫০–৬০ জনের এই দল।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চমেক শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনের ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সমন্বয়ক ও সাধারণ ছাত্র পরিচয়দানকারী তরুণেরা চমেকের ফটকে ভাঙচুর চালান এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে। সড়কের এক পাশ অবরোধ করে রাখেন বলেও অভিযোগ।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, চমেকের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে শুক্রবার থেকে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়। শনিবার দ্বিতীয় দিনে ছিল কনসার্টের আয়োজন। এই কনসার্টে কেবল চমেকের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার ছিল। এ জন্য বিশেষ প্রবেশ কার্ডও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সাতটার দিকে একদল তরুণ এসে মিলনায়তনে প্রবেশ করতে চাইলে বিপত্তি বাধে। ঢুকতে বাধা পেয়ে চমেকের মূল ফটকের সামনে তরুণেরা জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

‘কনসার্ট দেখতে দিতে হবে’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা। আগে থেকে চমেকে পুলিশ দায়িত্বে ছিল। এই পরিস্থিতি দেখে আরও অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়। ঘটনাস্থলে রাত আটটায় পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান যান। তিনি বলেন, একদল তরুণ সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কনসার্টে ঢুকতে চেয়েছেন। বাধা দিলে তারা সড়কে এসে স্লোগান দেন। পুলিশ ও চমেক ছাত্রদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ফটক ভেঙে ঢুকতে চাইলে পুলিশ ও চমেক শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করে।

সরেজমিন দেখা যায়, তরুণেরা চলে যাওয়ার পর লাঠি হাতে চমেক শিক্ষার্থীরা ফটকে পাহারা দিচ্ছেন। পরে পুলিশ সেখানে অবস্থান নিলে তারা চলে যান। ওসি সোলায়মান জানান, এভয়ড রাফা নামে ব্যান্ডটি তাদের ফেসবুক পেজে তিন দিন আগে ঘোষণা দিয়েছে, চমেকে কনসার্টে সবার সঙ্গে দেখা হবে। এ কারণে তরুণেরা উন্মুক্ত কনসার্ট ভেবে চলে আসেন বলে মনে হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *