জাতীয়

বাংলাদেশে ভেদাভেদ বলতে কিছু নেই: সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্যবাসীর পক্ষে সারা দেশের মানুষ নিবেদিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষের কিছু হলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাসহ সমগ্র বাংলাদেশের জনতা সোচ্চার হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম। তাই পার্বত্য মানুষের কল্যাণে মানবিকতার মূল্যবোধ সবারই জেগে ওঠে। এটা পার্বত্যবাসীদের জন্য অত্যন্ত সুখের ও আনন্দের।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নিজ দপ্তরে ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়ন সংক্রান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের ওপর আলোচনায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। এদেশটা আমার ও বাংলাদেশ আমার প্রিয় দেশ। এখানে ভেদাভেদ বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই সমান ও সমতার ভিত্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছি।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অর্থ দিয়ে ও নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে চাই। পরিবেশ রক্ষায়, ইকো ট্যুরিজম এবং বাংলাদেশিদের আধুনিক ও সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সবার মধ্যে কনফিডেন্স গড়ে তোলাই হলো আমাদের প্রধান কাজ। সবার মনে ইকুইটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার প্রতি বেশি নজর দিতে হবে। ডিজিটালাইজড ফর্মে পার্বত্য অঞ্চলের সব ছাত্র-ছাত্রীদের আনা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পার্বত্য দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছানো এ মুহূর্তে সম্ভব নয়, তাই আমরা সেখানে আপাতত সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দেওয়া ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনাকালে অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স, মিজ হেলেন লাফেভ, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মো. মুশফিকুর রহমান, ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *