পাহাড়ের চূড়ায় ভূমিহীনদের জন্য দৃষ্টিনন্দন আবাসন
পাহাড়ের চূড়ায় লাল সবুজে রাঙানো বড় বড় দালান। পাখির চোখে দেখলে মনে হতে পারে কোনো আবাসিক রিসোর্ট। তবে দৃষ্টিনন্দন এসব ভবন তৈরি করা হয়েছে খাগড়াছড়ির দুস্থ ও ভূমিহীনদের জন্য।স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত দুতলা বিশিষ্টি ১৫টি ভবনে চারটি করে মোট ৬০টি পরিবার থাকতে পারবে। সুপেয় পানি, যোগাযোগ, সৌর বিদ্যুৎ, পুকুরসহ পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা রয়েছে এ প্রকল্পে। প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে দুটি বেডরুম, একটি করে ডাইনিং রুম, রান্নাঘর ও টয়লেট। কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে দুই শতাধিক। যাচাই বাছাই করে দুস্থ ও ভূমিহীনদের হাতে চাবি তুলে দেয়া হবে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা মেয়র নির্মলন্দেু চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ১৫টি ভবন নির্মাণ করেছি। এখানে ৬০টি পরিবার থাকতে পারবে। রাজনৈতিক পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। যারা প্রতিবন্ধী, গরিব, দুস্থ তারাই প্রাধান্য পাবে। আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত শিশুদের জন্য আলাদা শিক্ষকও থাকবে।’
খাগড়াছড়ি পৌরসভার নিবার্হী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি সর্ম্পূণভাবে প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার পরপরই আমরা ঘরে চাবি হস্তান্তর করব।’
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জোনায়েদ কবীর সোহাগ বলেন, ‘খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স রুমে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আমরা সার্বিক প্রস্ততিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছি।’