কক্সবাজার-১ আসনঃ এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে লড়ছেন তার ছেলে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারই একমাত্র ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন। জাফর আলম চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবার দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত বাবার সঙ্গে তার ছেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।
বাবা জাফর লড়বেন ‘ট্রাক’ প্রতীকে আর ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন ‘ঈগল’ প্রতীক নিয়ে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহীন ইমরান প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন।
কক্সবাজার-১ আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বর্তমানে এ আসনে টিকে আছে সাতজন প্রার্থী। এরমধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীমকে হাতঘড়ি, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমকে ট্রাক, তার ছেলে তানবীর আহমেদ ছিদ্দিকী তুহিনকে ঈগল, কমর উদ্দিন আরমানকে কলার ছড়ি, জাতীয় পার্টির হোসনে আরাকে লাঙ্গল, ইসলামী ফ্রন্টের বেলাল উদ্দিনকে মোমবাতি, ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলমকে হাতুড়ি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার-১ আসনে সমীকরণ সবটাই যেন এখন বাবা-ছেলেকে ঘিরে। চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষের মন জয় করে শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হচ্ছে তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা। কারণ এতদিন তুহিনকে তার বাবা জাফরের ডামি প্রার্থী বলা হলেও তুহিন নিজেই বলছেন নির্বাচনে জয়ী হতেই মাঠে নেমেছেন তিনি।
তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন বলেন, বিজয়ী হওয়ার জন্যই নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। তরুণ ভোটারদের টার্গেট করে সংসদে যেতে চাই।
যদিও প্রতীক গ্রহণ করতে চকরিয়া থেকে বাবা জাফর আলমের (সংসদ সদস্যের নেমপ্লেট লাগানো) গাড়িতে চড়েই এসেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর ছাড়াও এ আসনে এখন হেভিওয়েট প্রার্থী ধরা হচ্ছে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীমকে। সরকারের আশীর্বাদ নিয়ে নির্বাচনে ইবরাহীমের জয়ের পথ কতটা সুগম হচ্ছে তা নিয়ে সব মহলে আলোচনা চলছে।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাফর আলম। এর আগে তিনি চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্তে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের মোবাইলে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।