চট্টগ্রাম

বন্দরনগরীর প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আগামীকাল

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়েটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনের কয়েকদিনের মধ্যেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে টাইগারপাস পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশ। আর র‍্যাম্প নির্মাণের পর চালু হবে বাকি ৪ কিলোমিটার উড়াল সড়ক।

কর্তৃপক্ষ বলছে, চট্টগ্রাম নগরীর দুই প্রান্তকে যুক্ত করবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার হয়ে এটি যোগ হবে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সাথে। ফলে পতেঙ্গা থেকে বহদ্দারহাট হয়ে একদিকে চান্দগাঁও এবং অন্যদিকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত যুক্ত হবে উড়াল পথে।

বন্দর সংলগ্ন ব্যস্ত মহাসড়কের ওপর দিয়ে এই এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়ন নিয়ে ছিল নানা অনিশ্চয়তা। তবে সব শঙ্কা পেছনে ফেলে এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় এই উড়ালসড়ক।

প্রাথমিকভাবে নগরীর লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর ও বঙ্গবন্ধু টানেল পর্যন্ত নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের টাইগারপাস মোড় পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশ উদ্বোধন হচ্ছে। শিগগিরই এ অংশ খুলে দেওয়া হবে যান চলাচলের জন্য। আর পুরো ১৭ কিলোমিটার চালু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের আমরা এখন কাজ শেষ করেছি। কিছু কিছু ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি আছে। এগুলো শেষ করার পরে আমরা টাইগার পাস থেকে সি–বিচ পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য আমরা আশা করি উপযোগী করে ছেড়ে দিতে পারব।’

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়াল সড়কটিতে যান চলাচলের জন্য ১৫টি পয়েন্টে র‍্যাম্প ও লুপ রয়েছে। তবে নানা জটিলতায় ১২টি র‍্যাম্পের কাজ এখনো শুরু করা যায়নি।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘এগুলোর ড্রইং–ডিজাইন শেষ হয়েছে। আমরা র‍্যাম্পগুলি পরে করতে চাচ্ছি। কারণ যারা পতেঙ্গা থেকে শহরে যাবে, তারা যেন নির্বিঘ্নে শহরে চলে যেতে পারে।’

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে ভিড় ও যানজট এড়িয়ে পতেঙ্গা ও বিমানবন্দরে যেতে পারবে নগরবাসী। দ্রুত সব র‍্যাম্প নির্মাণ করে উড়ালসড়ক চালুর তাগিদ তাদের।এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের সব কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *