অবশেষে চট্টগ্রাম ও ফেনীতে স্বস্তির বৃষ্টি
বেশ কিছুদিন ধরেই সারা দেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ফলে সারাক্ষণ বৃষ্টির অপেক্ষায় আছে মানুষ। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চট্টগ্রাম ও ফেনীতে দেখা মিলল স্বস্তির বৃষ্টি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে হালকা বাতাস ছিল। এ ছাড়া বজ্রপাতও হয়েছে। তবে বৃষ্টির স্থায়িত্ব বেশি না হওয়ায় তাপমাত্রা তেমন কমেনি। বৃষ্টির সময়সীমা ছিল ৭মিনিট। ফলে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি মেলেছে। আকাশ কিছুটা মেঘলা। তবে উষ্ণতার পরিমাণ বেশি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেনী আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ জেলায় সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হালকা বাতাস বইছে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৭৬ শতাংশ হওয়ায় গরম অনুভব হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ২ মিলি. মিটার। আজও তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতর সকাল সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রামে নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও এর আশপাশের এলাকায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই বৃষ্টির সঙ্গে চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। রোববার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।