রাজনীতি

আ.লীগ মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে: আব্দুল ওয়াদুদ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির মূল উৎসই হচ্ছে জনগণ ও তৃণমূলের নেতাকর্মী।

রোববার (২৩ জুন) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) মিলনায়তনে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জুবিলি) উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে যাত্রা শুরুর পর থেকে নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে জনগণের দল আওয়ামী লীগ আজ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন, বৃহৎ, গণতান্ত্রিক ও অসম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। বাঙালির জাতীয় মুক্তির যে আন্দোলন, সংগ্রাম ও স্বপ্ন তা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দল শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার সোনালি সূর্যকে বাংলার সবুজ জমিনের ওপরে এঁকে দিয়েছে।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ষাটের দশকের শুরুতেই পুরো বাঙালি জাতিকে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়, ৫৬’র শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, বাংলার ম্যাগনাকার্টা ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন এবং পরিশেষে ১৯৭১ সালে ২৬৬ দিনের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল লাল-সবুজের পতাকা। কাজেই এ বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রত্যেকটি অধ্যায়ের শিরোনামে উজ্জ্বল হয়ে আছে আওয়ামী লীগের নাম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে ১৯৭৫ সালে বিপথগামী ঘাতকের নির্মম বুলেট বাঙালি জাতিকে পিছিয়ে দেয় ২১ বছর। হায়েনারা ভেবেছিল যে বাংলাদেশ আর কোনোদিন উঠে দাঁড়াতে পারবে না। তাদের সেই ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছেন এমন এক উচ্চতায় যেখান থেকে আর পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। তবু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। সবাইকে এ ব্যাপারে সোচ্চার থাকতে হবে। সব বাধা রুখে দিয়ে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা মোতাবেক সব স্তরের নেতাকর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী কলেজে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন, সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আসাদুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, জেলা যুবলীগের সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ হাসান সজল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত সৈকত, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভিন, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আখতার মিতা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নার্গিস শেলী, সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুন।

সভায় রাজশাহীর ৯ উপজেলার ১৮ জন প্রবীণ আওয়ামী লীগ কর্মীকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *