আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নিষিদ্ধের দাবি
সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নিষিদ্ধের দাবি করেছে গণ অধিকার পরিষদ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সংগঠনটি সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এ কথা জানান।
রাশেদ খান বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। আমাদের প্রথম প্রস্তাবনা ছিল, ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা। তাদের যেকোনো কার্যক্রম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বন্ধ করতে হবে।
এসময় নুরুল হক নুর বলেন, আজকে আমরা দুটো বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুটো বক্তব্য নিয়ে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা মনে করছি, আমরা জানি আওয়ামী লীগের ভালো অতীত ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে জনগণের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, যে দলের নেতা দেশদ্রোহী (শেখ হাসিনা) এবং এমন ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে কোনোভাবেই রাজনীতি করতে পারে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি এবং শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে সমগ্র দেশবাসী আন্দোলন এবং প্রতিবাদ করছে।
তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা যাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছি, তারা যদি জনমতের বিপক্ষে কথা বলে তাহলে একটি প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এই বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা কী, আমরা সভায় জানতে চেয়েছি। সেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন, তার বক্তব্য বিকৃত করে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি নিজেও জালিম সরকার দ্বারা ভুক্তভোগী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা হয়েও তিনি অনেক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত পান না। ঘাতকরা যে গণহত্যা চালিয়েছে তা বিচার করতে চান। বাংলাদেশকে যেন কেউ আর এই দুঃসাহস করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে চান।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ল অ্যান্ড অর্ডার ঠিক রাখার জন্য, বিশেষ করে পুলিশি ব্যবস্থা ফাংশন করা অনেক জরুরি। অনেক জায়গায় পুলিশ তার মনোবল হারিয়েছে। অনেকে কাজে যোগদান করেননি। গত ১৫ বছরে পুলিশকে যেভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে, সেখানে যদি দলবাজদের চাকরিচ্যুত না করা হয়, ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে পুলিশের মধ্যে অস্থিরতা চলতে থাকবে। এক পক্ষ যোগদান করবে আর এক পক্ষ যোগদান না করার জন্য উসকানি দেবে। পুলিশের মনোবল বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রস্তাব করেছি ঝুঁকিপূর্ণ থানাগুলোতে ১০ সদস্যের একটি সেনা টিম মোতায়েন করা। ৬৪ জেলায় নতুন ওসি এবং পুলিশ সুপারকে নতুন করে পদায়ন করা। একই সাথে আমরা সরকারি চাকরিজীবী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভয় দিতে চাই, যারা ফ্যাসিস্ট শক্তির সহযোগী ছিলেন না, তাদের কারো চাকরি যাবে না।