আজ শুরু হয়েছে শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমদিনে ‘স্কুল পর্যায়’ ও ‘স্কুল-২ পর্যায়’-এর পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নেবেন দুই লাখ ৫১ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী।
ক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টায় পরীক্ষা একযোগে শুরু হয়, শেষ হবে দুপুর ২টায়।
এদিকে, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। একই সঙ্গে এ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে বন্যার কারণে সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলার পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছেন। তবে এনটিআরসিএ তাদের দাবি মেনে পরীক্ষা পেছানোর পথে হাঁটেনি। যথাসময়েই পরীক্ষা নিচ্ছে সংস্থাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম বলেন, দেখুন, আমরা যেসব কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি, সেখানে বন্যার পানি ওঠার আশঙ্কা নেই। পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতাও নেই।
বন্যাকবলিত জেলার প্রার্থীদের ভোগান্তি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, বন্যার কবলে পড়া কিছু প্রার্থীর হয়তো শেষ সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা নিরুপায়। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট প্রকট। পাঠদান স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। সেজন্য পরীক্ষা পেছানোর আর সুযোগ নেই।’
আগামীকাল শনিবার (১৩ জুলাই) কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন পাস করেছেন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। কেবল প্রিলিতে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।