আনারের দেহাংশ উদ্ধারে পোলেরহাটে অভিযান
রহস্যজনক ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের পুরো মরদেহ পাওয়ার আশা নেই। তবে, দেহাবশেষ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা সিআইডি ও স্থানীয় থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পোলেরহাট থানার কৃষ্ণমাটি এলাকার একটি খালে এ অভিযান শুরু হয়।
এর আগে বুধবার দিনগত ভোররাতে সিআইডি ও পুলিশের হাতে আটক হওয়া ট্যাক্সি ক্যাব চালক ও খুনের ঘটনায় জড়িত জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একপর্যায়ে তিনি এই খালটিতে দেহাংশ ভর্তি ব্যাগ ফেলার কথা স্বীকার করেন। এরপর পুলিশ অভিযান শুরু করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর শরীর টুকরো টুকরো করে হাড্ডি ও মাংস আলাদা করা হয়। এরপর হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ওই বাসা থেকে বের করা হয়েছে। তবে কোথায় মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো ফেলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্যকে হত্যার পর মরদেহ ফেলার কাজে অংশ নেয়া সিয়াম নামে একজনকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ।
আর ঢাকা থেকে ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল সংঘটক আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভুঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিন। আর হত্যা মিশনে আমানের নেতৃত্বে অংশ নেয় কয়েকজন। পাশাপাশি আরও কোনো ব্যক্তি এর সাথে জড়িত আছে কিনা, সেটাও আমরা খুঁজে দেখছি।
অন্যদিকে জাহিদ এবং জিহাদ হাওলাদার (২৪) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা সিআইডি।