খেলা

আয়ারল্যান্ডকে ৯৬ রানে গুটিয়ে ভারতের বড় জয়

উইকেটে সিম মুভমেন্ট মিলল যথেষ্ট। সঙ্গে অসমান বাউন্স। ভারতের চার পেসারের সামনে খাবি খেলেন আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। গুটিয়ে গেল তারা একশর আগেই। রোহিত শার্মার ফিফটিতে ভারত সেই রান পেরিয়ে গেল অনায়াসে। বড় জয়ে শুরু হলো তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবার ভারতের জয় ৮ উইকেটে। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ৯৭ রানের লক্ষ্য ৪৬ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে ২০০৭ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই সংস্করণে আট ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতল ভারত।

এদিন আইরিশদের অল্পে থামাতে ভারতের চার পেসার মিলে ভাগ করে নেন ৮ উইকেট। ৩ ওভারে একটি মেডেনে স্রেফ ৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন জাসপ্রিত বুমরাহ।

দলের সফলতম বোলার অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া। ২৭ রানে তার শিকার ৩টি। ৩৫ রানে ২ উইকেট নেন আর্শদিপ সিং। আরেক পেসার মোহাম্মদ সিরাজের প্রাপ্তি একটি।

ব্যাটিং দুরূহ উইকেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বালবার্নিকে ফিরিয়ে দেন আর্শদিপ।

পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড তুলতে পারে কেবল ২৬ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রথম ৬ ওভারে তাদের সর্বনিম্ন এটি। ২০১২ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৯ ছিল আগের সর্বনিম্ন।

পাওয়ার প্লেতে এক ওভার বোলিং করে মেডেন নেন বুমরাহ। পাওয়ার প্লের পর বোলিংয়ে আসা পান্ডিয়া নিজের টানা তিন ওভারে ধরেন একটি করে শিকার।

আয়ারল্যান্ডের কেউ বিশ বলও খেলতে পারেননি। ৫০ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এই সংস্করণে তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহের (৬৮) রেকর্ড নতুন করে লেখার শঙ্কাও জাগে তখন।

সেই শঙ্কা কাটিয়ে তারা ৯৬ পর্যন্ত যেতে পারে মূলত গ্যারেথ ডেলানির ব্যাটে। ১৪ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হন তিনি।

ছোট পুঁজি নিয়ে প্রথম ওভারে রোহিতকে ফেরানোর সুযোগ পায় আয়ারল্যান্ড, তবে স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি বালবার্নি, যদিও বেশ কঠিন ছিল সেটি।

আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ভিরাট কোহলি ইনিংস শুরু করতে নামেন রোহিতের সঙ্গে। তবে টিকতে পারেননি তিনি, বিদায় নেন ৫ বলে ১ রান করে।

শুরুতে শর্ট বলে সংগ্রাম করছিলেন রোহিত। কাঁধে আঘাতও পান তিনি। পরে খেলেন দারুণ কিছু শট। রিশাভ পান্তের সঙ্গে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন ভারত অধিনায়ক।

ফিফটির পরপরই অবশ্য আহত অবসর হয়ে মাঠ ছেড়ে যান রোহিত। ৩৭ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি।

চারে নেমে দলের জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতে ছক্কার চেষ্টায় আউট হয়ে যান সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। ব্যারি ম্যাককার্থিকে রিভার্স-স্কুপে ছক্কা মেরে ম্যাচের ইতি টেনে দেন পান্ত।

মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার পর সুস্থ হয়ে আইপিএল দিয়ে মাঠে ফেরা এই কিপার-ব্যাটসম্যান জাতীয় দলের হয়ে ফেরার ম্যাচে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড: ১৬ ওভারে ৯৬ (বালবার্নি ৫, স্টার্লিং ২, টাকার ১০, টেক্টর ৪, ক্যাম্পার ১২, ডকরেল ৩, ডেলানি ২৬, অ্যাডায়ার ৩, ম্যাককার্থি ০, লিটল ১৪, হোয়াইট ১৫*; আর্শদিপ ৪-০-৩৫-২, সিরাজ ৩-০-১৩-১, বুমরাহ ৩-১-৬-২, পান্ডিয়া ৪-১-২৭-৩, আকসার ১-০-৩-১, জাদেজা ১-০-৭-০)

ভারত: ১২.২ ওভারে ৯৭/২ (রোহিত ৫২ আহত অবসর, কোহলি ১, পান্ত ৩৬*, সুরিয়াকুমার ২, দুবে ০*; অ্যাডায়ার ৪-০-২৭-১, লিটল ৪-০-৪২-০, ম্যাককার্থি ২.২-০-১৮-০, ক্যাম্পার ১-০-৪-০, হোয়াইট ১-০-৬-১)

ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: জাসপ্রিত বুমরাহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *