আর্জেন্টিনাকে বড় শাস্তি ফিফার, অল্পেই পার পেল ব্রাজিল
বড় রকমের শাস্তির মুখে পড়েছে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। গত নভেম্বরে মারাকানায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ব্রাজিলের দর্শক এবং দাঙ্গা পুলিশ। যার ফলে একপর্যায়ে মাঠ থেকেও বেরিয়ে যান লিওনেল মেসি এবং তার দলের বাকি সদস্যরা। পুরো বিষয়টি নিয়ে কথার যুদ্ধও জমেছিল বেশ। সেই ঘটনার রেশ ধরে ফিফার শাস্তি থেকে রেহাই পায়নি কেউই।
ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনাকে অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। মারাকানার সেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছিল তারা। তাতে আর্জেন্টিনার আরও বড় কিছু খুঁত ধরা পড়েছে। যার কারণে বেশ বড় রকমের শাস্তিই পেতে হচ্ছে লিওনেল মেসিদের। সে তুলনায় কিছুটা অল্পেই পার পেয়ে যাচ্ছে ব্রাজিল।
আগেই গুঞ্জন ছিল, ব্রাজিলের দায় প্রমাণিত হলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দলটির পয়েন্ট কর্তন, আর্থিক জরিমানা অথবা ফাঁকা গ্যালারির সামনে খেলার শাস্তি হতে পারে। আর আর্জেন্টিনার থাকবে জরিমানা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত রাতে এসেছে শাস্তির ঘোষণা। তবে, এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে।
ফিফার তদন্ত সাপেক্ষে, মারাকানা কাণ্ডের জন্য ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনকে ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা) ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এএফএ) ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (২৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশি শাস্তি হয়েছে ব্রাজিলের।
তবে আর্জেন্টিনার কপাল পুড়েছে অন্য এক ঘটনায়। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের অন্য দুই ম্যাচে আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা ইকুয়েডর ও উরুগুয়ের সমর্থকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করায় আছে অন্য রকমের শাস্তি। আর্জেন্টিনাকে ওই ঘটনার জন্য ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (৬৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা) জরিমানা গুনতে হচ্ছে। এই অর্থ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষা প্রকল্পে ব্যয়ের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আপাতত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে।
এ ছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরে চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরবর্তী ম্যাচে ৫০ শতাংশের বেশি দর্শক মাঠে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে কিছুটা বেশি শাস্তিই অপেক্ষা করছে আর্জেন্টিনার জন্য।