আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল হামলা অব্যাহত রাখলে বন্দিরা ‘কফিনে’ ফেরত যাবে : হামাস

ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আটক থাকা বন্দিরা ‘কফিনে’ করে ফেরত যাবে যাবে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা।

একইসঙ্গে ইসরায়েলি সৈন্যরা কাছে এগিয়ে গেলে কী করতে হবে তা সে বিষয়ে বন্দিদের রক্ষায় নিয়োজিত যোদ্ধাদের ‘নতুন নির্দেশনা’ দেওয়া হয়েছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজায় ইসরায়েল ৬ জন বন্দির মরদেহ উদ্ধারের দুদিন পর হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পরিবর্তে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন) নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমির অর্থ হলো তারা (বন্দিরা) কফিনে করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে। তাদের পরিবারকে তাদের মৃত বা জীবিত গ্রহণের মধ্যে যেকোনও একটিকে বেছে নিতে হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘নেতানিয়াহু এবং সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দিদের বিনিময় চুক্তিতে বাধা দিয়েছে এবং বন্দিদের মৃত্যুর জন্য তারাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী।’

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। গাজায় আরও ৬ বন্দির নিহত হওয়ার ঘটনায় তারা রাস্তায় নেমে আসেন এবং বিক্ষোভে অংশ নেন।

গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে তারা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি করে বাকী বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন।

সোমবার টেলিভিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি তাদের জীবিত ফিরিয়ে না আনার জন্য আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আমরা কাছাকাছি ছিলাম, কিন্তু আমরা সফল হইনি। এর জন্য হামাসকে খুব চড়া মূল্য দিতে হবে।

অবশ্য হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলাতেই ওই ছয় বন্দি নিহত হয়েছেন।

এদিকে বন্দিদের মৃত্যু নিয়ে ইসরায়েলে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নেতানিয়াহুর সরকার হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করলে ওই বন্দিদের জীবিত ফিরিয়ে আনা যেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *