উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র দেবে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগে
উত্তর কোরিয়াকে ভ্লাদিমির পুতিন অস্ত্র পাঠানোর সম্ভাবনার কথা বলায় কঠিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। সেক্ষেত্রে কোরীয় উপদ্বীপসহ গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন যুদ্ধ কেন্দ্র করে পশ্চিমা চাপের মুখে আন্তর্জাতিক মহলে নিজের গ্রহণযোগ্যতা দেখাতে উত্তর কোরিয়া ও ভিয়েতনাম সফরে গেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে সম্মিলিতভাবে ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে, ঠিক সেভাবেই উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা করতে বুধবার এক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করেছেন তিনি।
চুক্তির আওতায় এক দেশ আক্রান্ত হলে অন্য দেশ তার সহায়তায় এগিয়ে আসবে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভিয়েতনামে তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। বিশেষ করে, দক্ষিণ কোরিয়া ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে সেটা বিশাল একটা ভুল হবে বলেও তিনি সতর্ক করে দেন তিনি।
পুতিন এমন সম্ভাবনার কথা বলায় উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউস মিলার বলেছেন, এমন পদক্ষেপ নিলে গোটা কোরীয় উপদ্বীপের স্থিতিশীলতা বিপন্ন হবে। এমনকি, উত্তর কোরিয়াকে বিশেষ ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবও লঙ্ঘন করা হবে।
মিলার মনে করিয়ে দেন, স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়াও নিরাপত্তা পরিষদের ওই প্রস্তাব সমর্থন করেছিল। উল্লেখ্য, মস্কো সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সময়সীমা সম্প্রসারণের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে।
এদিকে, হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, পুতিনের এই ঘোষণার ফলে উদ্বেগ সত্ত্বেও বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। রাশিয়া এখন মরিয়া হয়ে বৈদেশিক সহায়তা সন্ধান করছে। ফলে গত কয়েক মাস ধরেই রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বেড়ে চলেছে বলে মনে করেন কিরবি।
তিনি আরও বলেন, মস্কোর এমন পদক্ষেপ সম্পর্কে চীনেরও উদ্বেগ বাড়তে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংকে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ বাড়ানোর অনুরোধ করে আসছে। কিন্তু রাশিয়ার উপর নির্ভরতা বাড়লে উত্তর কোরিয়ার উপর চীনের প্রভাব কমে যেতে পারে। বিশেষ করে, উত্তর কোরিয়া আবার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করলে গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে, যাতে চীনের স্বার্থও ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলে মনে করেন কিরবি।