একাদশে ভর্তি: ৩য় আবেদনে সতর্ক না হলে ফল বিপর্যয়ের শঙ্কা
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ও ২য় মেধাতালিকা প্রকাশের পর অনেক শিক্ষার্থীর মুখে হাসি ফুটলেও একাংশ ভুগছে হতাশায়। কেননা প্রতিবছরের মত এবারও নগরের খ্যাতিমান সরকারি কলেজগুলোতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তরাই ঠাঁই করে নিয়েছে।
বিশেষ করে সরকারি কলেজের বিজ্ঞান শাখায় প্রকাশিত এই ফলাফলে হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া প্রায় ৪০৭ জন বিজ্ঞান শিক্ষার্থী কোন কলেজের তালিকায়ই আসেনি।
মেধাতালিকায় অনেকে মনোনীত হয়েছে এমন সব কলেজে যেখানে শিক্ষার পরিবেশ মানসম্পন্ন নয় বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
কাঙ্ক্ষিত কলেজে সুযোগ না পেয়ে হতাশায় থাকা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে নগরের ডিজিটাল কলেজখ্যাত শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত কলেজ অব সায়েন্স বিজনেস অ্যান্ড হিউমেনিটিজ (সিএসবিএইচ)।
শনিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেইন গেইটের বিপরীতে পাঁচলাইশ এলাকায় অবস্থিত কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা একাদশে ভর্তি বিষয়ক নানা সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেন।
শিক্ষার্থীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিএসবিএইচ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মেহরাব মাসুক বলেন, প্রথম ও ২য় আবেদনে কলেজ পছন্দক্রম নির্বাচনে এসএসসিতে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনায় না রাখা, কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ও মান এবং বাসা থেকে দূরত্ব ইত্যাদি বিবেচনায় না আনার কারণে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই ৩য় আবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু এটি আবেদনের শেষ সুযোগ, তাই বুঝে-শুনে পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যথায় আবারও ফল বিপর্যয় ঘটতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ না পেলেও উন্নত শিক্ষার পরিবেশ, নিয়মিত ক্লাস গ্রহণ, মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লাসনির্ভর পাঠদান, মেধাবী শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র-ছাত্রীদের নিবিড় পরিচর্যা, দ্রুত সিলেবাস সমাপণ ও বোর্ড অনুরূপ পরীক্ষা গ্রহণ ইত্যাদি ব্যতিক্রমী পাঠপদ্ধতি সম্পন্ন প্রাইভেট কলেজ চট্টগ্রামে রয়েছে। তাই মেধাতালিকায় আসা কলেজ যাদের পছন্দ হয়নি এবং যারা এতে নিশ্চায়ন করেনি, তারা ৯ ও ১০ জুলাই ৩য় আবেদন করার সময় পছন্দক্রমে যে কলেজের নাম প্রথম দিকে রাখবে, সে কলেজেই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের সচেতন অভিভাবকদের আস্থা অর্জনকারী কলেজ অব সায়েন্স বিজনেস অ্যান্ড হিউমেনিটিজ হতে পারে একমাত্র পছন্দ।
সিএসবিএইচ কলেজে এসএসসি-তে জিপিএ ৪.৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হচ্ছে। বিগত বছরসমূহে শতশত শিক্ষার্থী এ+/এ অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মেরিন একাডেমী, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে সদর্পে ঠাঁই করে নিয়েছে। তাই সরকারি-বেসরকারি মুখ্য বিষয় নয়, নিয়মিত ক্লাস করলে এবং মনযোগী হলে প্রাইভেট কলেজ থেকেও ভালো ফলাফল করা সম্ভব।
অভিভাবক এস এম নাসিরউদ্দিন বলেন, প্রাইভেট কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের প্রতি অধিক যত্নশীল। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ক্লাসের সুযোগসম্পন্ন সিএসবিএইচ নিঃসন্দেহে নির্ভরযোগ্য কলেজ, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত ক্লাসে হাজির থাকতে হয়। এখানকার প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব উন্নত। লেখাপড়ার সাথে সাথে সৃজনশীলতা ও খেলাধুলার চর্চাও রয়েছে। রাজনৈতিক বা অনৈতিক পরিবেশ এখানে নেই।
কলেজের প্রাক্তন ছাত্র অপি চৌধুরী (বর্তমানে কুমিল্লা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত) বলেন, সিএসবিএইচ চট্টগ্রামের বুকে একটি অন্যতম কলেজ। এই কলেজ আমার সব চাহিদা পূরণ করেছে। শিক্ষকদের নিবিড় পরিচর্যার কথা আজীবন কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করবো।
এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সরাসরি অফিসে বা হটলাইন ০১৮৮১-৫৬৪৫০৫ নম্বরে যোগাযোগ করে বা সিএসবিএইচ ফেসবুক পেইজে বিস্তারিত জানা যাবে।