রাজনীতি

কোটা আন্দোলনের সমম্বয়ককে হল ছাড়ার নির্দেশ দিল ছাত্রলীগ

কোটা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমম্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলমকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগ। পরে খবর পেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে অমর একুশে হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

বুধবার (০৪ জুলাই) দিনগত রাত ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অমর একুশে হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে নানা স্লোগান দেন।

সারজিস আলম জানান, অমর একুশে হল ছাত্রলীগের হল শাখার কয়েকজন পদপ্রার্থী সারজিসের এক রুমমেটকে ডেকে হল থেকে নেমে যাওয়ার জন্য বলেন। বিষয়টি জানার পর তিনি পদপ্রার্থীদের সঙ্গে টিএসসিতে দেখা করেন এবং তথ্যের সত্যতা জানতে চান। ছাত্রলীগের পদপ্রার্থীরা তাকে জানান, দলীয় হাইকমান্ড থেকে তাদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার স্বার্থে হল থেকে নেমে যাওয়াকে ভালো মনে করি। কিন্তু আমি হল থেকে বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা আমাকে হলের সামনে আটকে দেয়। এ সময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ আমাকে অভয় দিয়ে হলে থাকতে বলেন।

তিনি আরও বলেন, জানতে পেরেছি ছাত্রলীগের হাইকমান্ড থেকে এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। হল পদপ্রার্থীরা ‘কৃতিত্ব’ পাওয়ার জন্য এমন কাজ করেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনানের প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। এছাড়া যারা আমাকে নেমে যেতে বলেছিলেন, তারা পরে ক্ষমা চেয়েছেন।

তবে হলের কোনো পদপ্রার্থীরা তাকে নেমে যেতে বলেছেন, সেটি জানাননি সারজিস।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দামের হোসেনের অনুসারী পদপ্রত্যাশীদের কাছে থেকে এই নির্দেশ আসে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে সারজিসকে নেমে যাওয়ার নির্দেশের তথ্যে হলের মূল ফটকে অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী জড়ো হন। পরে পুরো ঘটনা জানালে তারা রাত ১টা নাগাদ স্থান ত্যাগ করেন।

সার্বিক বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ বলেন, এটি একটি অপতথ্য ছিল। আমি ভেবেছিলাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়েছে। পরে দেখি, এমন কোনো পরিস্থিতি না। যারা সারজিসকে হল ছাড়ার কথা বলেছে, তাদের সঙ্গে তার মীমাংসা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পুরো ঘটনা না জেনেই অবস্থান নিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *