খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নেই পর্যটকের ভিড়
খাগড়াছড়ির পর্যটনখাতে দুর্দিন যাচ্ছে। মৌসুমের এই সময়ে যেখানে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকার কথা, সেখানে আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ছুটির দিনেও কেন্দ্রগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা। টানা দুই মাস ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান এবং বন্যার কারণে পর্যটন শিল্পে এমন ধস বলে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
খাগড়াছড়ির প্রধান দুই পর্যটন কেন্দ্র ‘আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র’ ও ‘জেলা পরিষদ পার্কে’ হাতেগোনা পর্যটন দেখা গেছে আজ শুক্রবার দুপুরে।
যার অধিকাংশই ছিল স্থানীয় দর্শনার্থী। অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর চিত্র একই।
পাবনার ইশ্বরদী থেকে বেড়াতে আসা পারভেজ আলম বাদল জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হলেও পর্যটক না দেখে হতাশ। এ ক্ষেত্রে তিনি সমসাময়িক ঘটনার কারণে এমনটা হয়েছে বলে দাবি করেন।
একইভাবে চট্টগ্রামের রাউজানের পর্যটক সনজয় বড়ুয়াও বলেন, ‘এতটা পর্যটন শূন্য হবে ভাবতে পারিনি।’
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা জানান, গেল দুই মাস ধরেই পর্যটকের উপস্থিতি একেবারে কম। বন্যার পর পর্যটক আসা আরো কমে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন মাত্র দুই শ’র মতো।
যা অন্যান্য সময় হাজারের বেশি হয়।
মোটেল ম্যানেজার উত্তম কুমার মজুমদার জানান, বাইরের পর্যটক কমে যাওয়ায় হোটেল-মোটেলগুলোতে বুকিং নেই। পর্যটন করপোরেশন পরিচালিত খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলে গত দুই মাসে কোনো আয় নেই। এ ছাড়াও পর্যটক সংশ্লিষ্ট পরিবহন ব্যবসা ও পাহাড়ি পোশাক ও হ্যান্ডিক্রাপ্টটের দোকানে বেচাকেনা নেই।
জেলা হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘হোটেলগুলোতে বুকিং খুবই কম।
পর্যটক না আসায় এমন অবস্থা হয়েছে। তবে, দেশের পরিস্থিতি আরো স্থিতিশীল হয়ে এলে পর্যটন খাত ঘুরে দাঁড়াবে।’