‘গুরুত্বহীন’ জয় থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন শান্ত
টানা দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টি তাই বাংলাদেশের জন্য ছিল কেবলই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। এমন ম্যাচে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে দেয়নি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ব্যাটে-বলে দাপুট দেখিয়েছে জয় তুলে নিয়েছে ১০ উইকেটে। এমন জয়ের আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপে কাজে দেবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
শক্তিমত্তায় অনেকটা এগিয়ে থাকলেও সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে হারলে বিশ্বকাপের আগে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হতো সফরকারীদের। এমন ম্যাচে বল হাতে রীতিমতো জাদু দেখালেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসারের স্লোয়ার আর কাটারে দাঁড়াতেই পারলেন না স্বাগতিক ব্যাটাররা।
মোস্তাফিজের ১০ রানে ৬ উইকেট নেয়ার দিনে মাত্র ১০৪ রানে থামে যুক্তরাষ্ট্র। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাটিং করলেন তানজিদ হাসান তামিম এবং সৌম্য সরকার। তাদের দুজনের ব্যাটে ৫০ বল বাকি থাকতেই জয় পায় বাংলাদেশ। তানজিদ ৫৮ এবং সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। শেষ ম্যাচে ক্রিকেটাররা সবাই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বলে জানান শান্ত।
ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমার মনে হয় ছেলেরা তাদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। ম্যাচের আগে আমরা যা পরিকল্পনা করেছিলাম আমার মনে হয় প্রত্যেকে আমাদের পরিকল্পনাটা ভালোভাবে বাস্তবায়ন করেছে।’
শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটের বড় জয় পেলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সিরিজ হারায় হতাশ হলেও কন্ডিশন সম্পর্কে নেয়া ধারণা বিশ্বকাপে কাজে লাগানোতে মনোযোগ শান্তর। সবশেষ তিন ম্যাচে কন্ডিশন নিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা বিশ্বকাপে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে বলে মনে করেন শান্ত। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের অধিনায়ক স্বীকার করেছেন যে, তারা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেননি।
শান্ত বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা খুবই হতাশার। সত্যি কথা বলতে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। কিন্তু আমরা শেষটা ভালো করতে পেরেছি। আমার মনে হয় এই আত্মবিশ্বাসটা বিশ্বকাপে কাজে দেবে। দেখুন, আমরা এখানকার কন্ডিশন এবং সবকিছুই জানি। আমরা সবকিছুরই অভিজ্ঞতা নিতে পেরেছি। বিশ্বকাপে যদি আমরা সেই অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের দলের জন্য ভালো হবে।’