চট্টগ্রাম

গৃহকরের কারণে চসিকের রাজস্ব আয় বেড়েছে

হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে জনগণের আপত্তি ছিল। আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য ৬টি রিভিউ বোর্ড গঠন করা হয়। রিভিউ বোর্ডে আমি উপস্থিত থেকে গণশুনানির মাধ্যমে করদাতাদের চাহিদা অনুসারে সহনীয় পর্যায়ে কর মূল্যায়ন করি। এতে নগরবাসীর গৃহকর নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল তা প্রশমিত হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে জনগণ গৃহকর দেওয়ায় চসিকের রাজস্ব আয় বেড়েছে।

চসিকের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ফইল্যাতলী কিচেন মার্কেট উদ্বোধনকালে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

মেয়র আরও বলেন, ঐতিহ্যবাহী ফইল্যাতলী বাজারকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আধুনিক কিচেন মার্কেটে রূপান্তর করেছে। এ কারণে চসিকের রাজস্ব আয় বাড়বে।

ফইল্যাতলী কিচেন মার্কেটের নির্মাণ ও বরাদ্দ নিয়ে এমন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল যে আদৌ এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে কী না তা নিয়ে নাগরিকদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল। পরে আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ায় এ মার্কেট যাত্রা শুরু করল।

মার্কেটে ১৫৭টি দোকান থাকছে। এছাড়া স্টল রয়েছে ১২২টি।

চট্টগ্রামের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। এই ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে চট্টগ্রাম বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আগামীতে নিচু এলাকায় আগের মতো জলাবদ্ধতা হবে না।

অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর মো. ইসমাইল সভাপতিত্ব করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছ, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আমিন, হুরে আরা বিউটি, স্টেট অফিসার রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল-ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল আমিন, ফয়সাল আমিন, আসলাম সওদাগর। ফইল্যাতলী কিচেন মার্কেট মালিক সমিতির সদস্য সচিব মো. মাসুদ রায়হানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কেটের আহ্বায়ক ওমর ফারুক সওদাগর, নজরুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *