ঘূর্ণিঝড় রেমাল: মিরসরাইয়ে এখনও পানিবন্দি শতাধিক পরিবার
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এখনো পানিবন্দি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর সোনাপাহাড় এলাকার শতাধিক পরিবার। কয়েকদিন ধরে জ্বলছে না চুলা। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে মিরসরাইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে ফেনী নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার ২৬ হেক্টর মৎস্য প্রকল্পের প্রায় কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। দমকা বাতাসে ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ১০ হেক্টর আউশ বীজতলা ও ১৮০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজিক্ষেত নষ্ট হয়েছে। উত্তর সোনা পাহাড় এলাকায় ড্রেন, কালভার্ট ভরাট করে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় এ জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
দেখা গেছে, জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বারইয়ারহাট পৌরসভা সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে উত্তর সোনাপাহাড় এলাকায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পানিতে ডুবে আছে ঘরের মেঝে। অর্ধেক ডুবে আছে টিউবয়েল। গত কয়েকদিন ধরে চুলা জ্বলছে না তাদের।
উত্তর সোনাপাহাড় এলাকার বাসিন্দা ছকিনা বানু বলেন, ‘ঘরে পানি ঢোকায় আমরা অনেক কষ্টে আছি। আলাদা চুলায় রান্নাবান্না করতে হচ্ছে। খাটের ওপর শুলে পাশে দিয়ে সাপ যায়, মাছ যায়।’
আরেক বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বছর এখানে পানি যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। যে কারণে হালকা বৃষ্টি হলে আমাদের ঘরে হাঁটুসমান পানি উঠে যায। কেউ সাহায্য-সহযোগিতাও করে না।’
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, ‘উত্তর সোনা পাহাড়ে পানিবন্দির বিষয়টি এলাকাবাসী কিংবা স্থানীয় মেম্বার কেউ জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। শিগগির এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’