চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণে ফাঁদ
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে (আরসিফুড) আছে ৪৫৭ জন পরিবহন ঠিকাদার। তাদের মেয়াদ শেষ প্রায় ৬ বছর। এরই মধ্যে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্রও আহ্বান করা হয়। তবে তালিকাভুক্ত ঠিকাদার নয়— এমন দুজন অসাধু ঠিকাদারদের যোগসাজশে বিভিন্ন অজুহাতে পৃথকভাবে মামলা ঠুকে স্থগিত করে দিয়েছে দুটি নিয়োগ কার্যক্রম। ফলে, মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও বছরের পর বছর ধরে ঠিকাদারি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোনো ঠিকাদারেরা। বিভিন্ন সময় পরিবহনকালে চাল-গম চুরি করতে গিয়ে তারা ধরা পড়লেও খাদ্য অফিসের কর্তাদের ‘পকেট ভরিয়ে’ চুরির অভিযোগ থেকে পার পেয়ে গেছেন।
তবে, কিছু ব্যবসায়ীর দীর্ঘদিনের দাবি— নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হলেও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে খাদ্য ঠিকাদারি কাজ চালিয়ে যেতে। এরকম হলে ‘দুই নম্বরি ফন্দি’ ভেস্তে যাবে অসাধু ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের। আর যদি পুরনো ঠিকাদাররা কাজে থাকে খাদ্য পরিবহনে অনিয়ম ও চুরি আরও বেড়ে যাবে।
নিয়োগ স্থগিতে মামলার ‘ফাঁদ’
২০২২ সালের ৬ জুলাইয়ের দিকে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে চট্টগ্রামে আরসিফুড। ২০২২ সালের ২৬ জুলাই ‘রক্তপাতের আশঙ্কা’ করে ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। যিনি এই মামলাটি করেছিলেন তিনি আরসিফুড চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত কোনো পরিবহন ঠিকাদার নন। মামলা দায়ের করার পর নতুন ঠিকাদার নিয়োগ কার্যক্রমের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।