চট্টগ্রাম বন্দর স্মার্ট পোর্ট হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানান, ২০২৪ সালের চট্টগ্রাম বন্দর ইউরোপ-আমেরিকার বন্দরগুলোর মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে স্মার্ট পোর্ট হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে। ২০২৩ সালের সাফল্য ও ২০২৪ সালের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
বে টার্মিনাল আর স্বপ্ন নয় উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বে টার্মিনালের মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বে টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব দাখিল করেছে। বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল ১ ও ২ নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য পিএসএ সিঙ্গাপুর ও ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে আগামী বছর চুক্তি সই হবে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বে টার্মিনালের চতুর্থ টার্মিনাল হিসেবে গ্যাস ও অয়েল টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
চলতি বছরের বন্দরের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে তিন মিলিয়নের ক্লাবে এরইমধ্যে প্রবেশ করেছে। আগামী যে আর চার-পাঁচদিন আছে এটা প্রায় তিন দশমিক এক মিলিয়ন টিইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রূপান্তর হবে। এ ছাড়া আগের চেয়ে এবার রেকর্ড সংখ্যক বাল্ক কার্গো হ্যান্ডলিং হবে। এখন পর্যন্ত ১১ কোটি ৮৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৭৬ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে, যা ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বছর শেষে প্রায় ১২ কোটি মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। ফলে এটা আগের কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড অতিক্রম করবে।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেশন ও ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব ভিত্তিক বেসরকারি গ্লোবাল টার্মিনাল অপারেটর আরএসজিটিআই-এর সঙ্গে একটা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তারা এরইমধ্যে কাজও শুরু করেছে। স্টিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কমিটিও করা হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে টার্মিনাল করার টেন্ডার কার্যক্রম সেটি আমরা সম্পন্ন করেছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু করব।’
এ সময় লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হামলার কারণে বাংলাদেশে তার কোনো প্রভাব পড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘লোহিত সাগর ও সুয়েজ খালে সাম্প্রতিককালে যে আক্রমণ ঘটেছে এটা পুরোই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ছোট খাটো এসব ঘটনা দুই একটি জাহাজকে ডিস্টার্ব করতে পারে। কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর সুযোগ নিতে পারে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’