চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে আইএমও সেক্রেটারি জেনারেল

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল Arsenio Antonio Dominguez Velasco চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার (৩১ মে) চট্টগ্রাম বন্দর সফরে আসেন সেক্রেটারি জেনারেল এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।

অতিথিরা বোট ক্লাব থেকে নদীপথে বন্দরের ইএমইউ কার্যক্রম, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এরপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং অংশীজনদের সঙ্গে শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর একটি ব্রিফিং সভায় যোগদান করেন।

সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল আইএমও সেক্রেটারি জেনারেল এবং হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং অংশীজনদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

স্বাগত বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং বন্দরগুলোর বিষয়ে আইএমওর সহযোগী ভূমিকা এবং সার্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে আইএমও সেক্রেটারি জেনারেলকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে আইএমওর উত্তরোত্তর সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন।

সভায় চট্টগ্রাম ও অন্য বন্দরগুলোর এবং মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান।

সেক্রেটারি জেনারেল আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সেক্টর এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আইএমও তার সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে ।

তিনি মেরিটাইম সংক্রান্ত হংকং রেজুলেশন যথাসম্ভব দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানান। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে গ্রীন পোর্ট প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তির প্রশংসা করেন ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এসএম মোস্তফা কামাল, উপসচিব সৈয়দ আলী আহসান, মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বন্দরের বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের নেতৃবৃন্দ।

সভা শেষে অতিথিরা চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরির্দশন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *