চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে পুলিশকে মারধর, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামে এক পুলিশ সদস্যের বাসায় ঢুকে তাঁকে মারধর, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানিসহ বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার (১১ আগস্ট) নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চৌধুরীনগর এলাকায় এই হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি আজ শনিবার জানাজানি হয়।
এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন রকিবুল ইসলাম সেলিম ও মো. ফরহাদ ওরফে সাব্বির।
আহত ওই পুলিশ সদস্য হলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্ণফুলী থানায় কর্মরত কনস্টেবল ফৌজুল করিম। ঘটনার পর ওই পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে ও তাঁর স্ত্রীও হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলার সময় ওই পুলিশ সদস্য সারা দেশের অন্য পুলিশের মতো কর্মবিরতিতে ছিলেন
ওই ঘটনায় ১২ আগস্ট নগরের বায়েজিদ থানায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্য ফৌজুল স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এ সময় ১০–১৫ জন সন্ত্রাসী হাতে কিরিচ, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে ফৌজুলের বাসায় এসে তাঁকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় স্বামীকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির পাশাপাশি মারধর, ঘরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
ঘটনা শুনে তখন ওই পুলিশ দ্রুত বাসায় আসেন। এ সময় হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকেও পিটিয়ে জখম করার পর হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। একই সময় স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর টহল টিমকে খবর দিলে তারা রকিবুল ইসলাম সেলিম ও মো. ফরহাদ ওরফে সাব্বির নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার পর ফোনে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজয় কুমার সিনহা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ সদস্যকে মারধর, লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার রয়েছে।