চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী বই বিনিময় উৎসব হয়েছে

নিজের কাছে থাকা পুরোনো একটি বইয়ের বিনিময়ে পছন্দের গল্প, কবিতা, উপন্যাস কিংবা দরকারী একাডেমিক বই নেয়া যাবে, এমন ব্যতিক্রমী বই উৎসব হয়েছে চট্টগ্রামে।

‘বই নয়, জ্ঞানের বিনিময়’ এ শ্লোগানে পঞ্চমবারের মতো দিনব্যাপী উৎসব শুক্রবার সকালে নগরীর জামালখান মোড়ে উদ্বোধন করেন একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম. এ. মালেক।

ব্যাতিক্রমী এই বই বিনিময় উৎসবের আয়োজন করে স্টোরি টেলিং প্লাটফর্ম ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ। এই উৎসবে যে কেউই একটি বই রেখে পছন্দের অন্য একটি বই নিয়ে যেতে পারছেন একেবারে বিনামূল্যে।

এই উৎসবে ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে অভিভাবকদের সাথে একাত্ম হয়েছে শিশু-কিশোররাও। অভিভাবকরা মনে করছেন বর্তমানে শিশু কিশোরদের ক্ষতিকর মোবাইল গেমসের নেশা থেকে মুক্ত করতে বই পড়ার বিকল্প নেই।

এমন আয়োজনে বই পড়ার চর্চা বাড়িয়ে পাঠক তৈরীতে ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত জানিয়েছেন বিশিষ্টজনদের। ফুটপাতে ১১টি স্টলের টেবিলে সাজানো রয়েছে বই। যেখানে রয়েছে গল্প, উপন্যাস, জীবনী, কবিতা, মুক্তিযুদ্ধের বই। বাদ যায়নি একাডেমিক বইও।

এসব বই থেকে পাঠকরা বেছে নিচ্ছেন নিজের পছন্দের বইটি। তবে এসব বই নিতে প্রয়োজন নেই অর্থের। দরকার শুধুমাত্র নিজের পুরনো একটি বা একাধিক বইয়ের। এই উৎসবে পছন্দের বইটি নিতে আসছেন নানা বয়সী মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল শিশু-কিশোরদের।

ব্যাতিক্রমী এই বই বিনিময় উৎসবের আয়োজন করে স্টোরি টেলিং প্লাটফর্ম ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ। আয়োজকরা বলেন বই বিনিময় হচ্ছে জ্ঞানের বিনিময়। ভবিষ্যতে এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

বই বিনিময় উৎসবে এসে বিশিষ্টজনরা বলেন, এধরণের উৎসব যত বেশী হবে তত বেশী পাঠক তৈরী হবে। যা মানুষের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করবে। যত বেশী এধরণের আয়োজন করা যায় ততই বেশী মানুষ বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবে।

অভিভাবকরা মনে করছেন বর্তমানে শিশু কিশোরদের ক্ষতিকর মোবাইল গেমসসহ বিভিন্ন নেশা থেকে মুক্ত করে সৃজনশীল মনন তৈরীতে বই পড়ার বিকল্প নেই।

দিনব্যাপী চলা এই উৎসবে ১১টি ক্যাটাগরিতে বইগুলো সাজানো হয়। বই বিনিময়ের আগে রেজিস্ট্রেশন ছিলো বাধ্যতামূলক। আয়োজকরা এবার ২৫ হাজার বই বিনিময় করার সুযোগ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *