চবির দুই ইউনিটের একটিতে সিলেবাস পরিবর্তন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় এ ও বি ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা গতবারের তুলনায় কমছে। এবার সিলেবাস পরিবর্তন করা হচ্ছে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়। ইউনিটটিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন ও মানবিক বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সবাই অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা দেবেন। তাই হিসাববিজ্ঞান কিংবা ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ থেকে কোনো প্রশ্ন রাখা হবে না।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। বেলা তিনটা থেকে শুরু হয়ে এ সভা চলে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। সভা শেষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. তৌহিদ হোসেন সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
এ ইউনিটে এবার আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক (চতুর্থ বিষয়সহ) মিলিয়ে মোট জিপিএ ৮ দশমিক ২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আলাদাভাবে মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৪ ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে।
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত বি ইউনিটে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ ৭ নির্ধারণ করা হয়। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম জিপিএ লাগবে ৭ দশমিক ৫। এ ছাড়া মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩ আর বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে জিপিএ ৩ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সি ইউনিটে আগে তিন ধরনের প্রশ্নপত্র করা হতো। একটি ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পাস করা করা শিক্ষার্থীদের জন্য, আর দুটি বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য। এবার আর তেমনটি থাকছে না। এবার সবাইকে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে। এই ইউনিটে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ৪০, গণিতে ৩০, সাধারণ জ্ঞানে ১৫ ও আইসিটিতে ১৫ থাকবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০। আর প্রতি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ করে কাটা যাবে।
চারটি ইউনিট ও দুটি উপ–ইউনিটে এবার পরীক্ষা হবে। আবেদন করতে প্রতি শিক্ষার্থীকে ইউনিটপ্রতি দিতে হবে ১ হাজার টাকা। এবারও ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট মিলিয়ে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১৮৯টি ও কোটায় ৭৩৭টি।