বিনোদন

জয়া-ফয়সাল মিলে যাক, চান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল

দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ১৯৯৮ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন সে সময়ের জনপ্রিয় মডেল ফয়সাল আহসান উল্লাহকে। বিয়ের পর জয়া ‘মাসউদ’ থেকে নিজ নামে জয়া ‘আহসান’ জুড়ে নেন অভিনেত্রী। এরপর এই দম্পতির এক ছাদের নিচে কেটে যায় দীর্ঘ এক যুগ। কিন্তু বিয়ের ১৩ বছরের মাথায় হঠাৎই বিচ্ছেদের ঘোষণা জয়া। কারণটা দু’জনের কেউই স্পষ্ট করেননি।

বিচ্ছেদের পরে নতুন করেও আর কোনো সংসার গড়েননি জয়া-ফয়সালের কেউই। দু’জনই বিগত ১৩ বছর কাটিয়েছেন নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে। যদিও সম্প্রতি বিয়ে-বিচ্ছেদ আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন জয়া। তারই সূত্র ধরে জয়া-ফয়সালের বিয়ে, বিচ্ছেদ নিয়ে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। যেখানে তিনি এই তারকা দম্পতিকে ফের মিলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

জয়া-ফয়সাল সর্ম্পকে সিদ্দিকী নাজমুল আলম লিখেছেন, অনেকেই অনেক কথা লিখতেছেন ফেসবুকে, এবার আমি একটা কথা বলি আমাদের ফয়সাল ভাইয়ের সাথে আমার ব্যক্তিগত জানাশোনা আছে। নিরেট একটা আপাদমস্তক ভদ্র রুচিশীল সাদা মনের মানুষ। মাঝেমধ্যে অবাক হই এটা ভেবে যে, ফয়সাল ভাই মিডিয়াতে কাজ করতো কীভাবে? অবশ্য আগের মিডিয়ার পরিবেশ অন্যরকম ভালো ছিল। ফয়সাল ভাইকেও অনেকবার খুঁচিয়েছি জয়া আপার বিষয়ে। এখনও আমি তাকে দুলাভাই বলে ডাকি। কিন্তু কোনোদিন একটা নেগেটিভ কমেন্টস ফয়সাল ভাইয়ের মুখ থেকে শুনিনি জয়া আপার নামে। ঠিক তেমনিভাবে জয়া আপা ফয়সাল ভাইয়ের নামে কিছু বলেছে দেখিনি কিংবা শুনিনি। এটা হলো দুজন দুজনের প্রতি রেসপেক্ট।

জয়া-ফয়সালকে নিয়ে নেতিবাচক গল্প না বানানোর অনুরোধ জানিয়ে তাদের পুনরায় এক করে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সিদ্দিকী নাজমুল আলম আরো লিখেছেন, শোনেন ভাঙা খুব সহজ, ভাঙতে খুব মজা তাই না? তবে ভাঙার চাইতে গড়ার আনন্দ অনেক বেশি। আমরা আগুনে ঘি না ঢেলে তিক্ততা আরও না বাড়িয়ে যেহেতু তারা দুজনই এখনও বিয়ে নতুন করে করেনি, আসুন আপনি আমি আমাদের জায়গা থেকে পজিটিভলি কথা বলে তাদের পুনরায় মিল করিয়ে দেই।

সর্বশেষ ফয়সালকে উদ্দেশ্য করে এই ছাত্রনেতা লিখেছেন, ফয়সাল ভাই রাগ কইরেন না আমার লেখাটার জন্য। পাবলিক যেভাবে রং মাখাচ্ছে কারও একজনের লিখা উচিত তাই লিখলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *