চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে ইমামদের সহায়তা চায় সিডিএ

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ ময়লা আবর্জনায় খাল ও নালা ভরাট। তাই বিভিন্ন খাল-নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলতে ধর্মীয়ভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মসজিদের ইমামদের সহায়তা চেয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় সিডিএ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসানের সাথে বৈঠক করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। এ সময় তিনি জনসচেনতা সৃষ্টির জন্য চট্টগ্রাম নগরের সকল ইমামদের নিয়ে একটি মতবিনিময় আয়োজন করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালককে অনুরোধ জানান। এতে সম্মতি জানিয়ে বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসান তারিখ নির্ধারণ করে ইমামদের নিয়ে এ মতবিনিয় সভা আয়োজন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

বৈঠকে ময়লা আবর্জনায় খাল-নালা ভরাট হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টির অন্যতম কারণ উল্লেখ করে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশপ্রেম থাকতে হবে। যার কাছে দেশপ্রেম নেই তার কাছে মানব প্রেমও নেই। সুতরাং যার মানব প্রেম নেই; তার ইমানও নেই। তাই আমাদের মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে জনসাধারণকে বুঝাতে হবে, নালার মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। কারণ নালায় ময়লা আবর্জনার কারণে বৃষ্টি পানি খালে যেতে পারে না। এতে সড়কে পানি ওঠে ময়লাযুক্ত পানির জন্য মুসল্লিরা মসজিদে, স্কুলের বাচ্চারা স্কুলে, চাকরিজীবীরা কর্মস্থলে যেতে পারছে না। সরকার টাকা দিচ্ছে আমরা নালা, খাল সবই কাটছি; কিন্তু নালায় ময়লা ফেলার কারণে পানি খালে যাচ্ছে না। এজন্য জলাবদ্ধতা নিরসনে বেগ পেতে হচ্ছে। বলা যায়, এটা গুনাহের কাজ। তাই সকলের সচেতন হওয়া দরকার।

তিনি আরো বলেন, হাদিসে রয়েছে দেশ প্রেম ইমানের অঙ্গ। সুতরাং আমাদের সবার কর্তব্য প্রতিটি মসজিদে আমাদের জাতি, দেশ, সরকার এবং দেশের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য সবসময় দোয়া কামনা করা। এ দোয়া পরিচালনা করতে আমি আমাদের প্রত্যেক মসজিদের ইমামদের কাছে অনুরোধ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *