জিয়া অত্যন্ত হিংস্র-বেপরোয়া হয়ে ওঠেন: শেখ হাসিনা
জিয়াউর রহমান রক্তাক্ত হাতেই খাবার খেতে বসতেন এবং খেতে খেতেই ফাঁসির আদেশে সই করতেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সার্বিক প্রেক্ষাপটে জিয়া অত্যন্ত হিংস্র ও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বুধবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খুনি জিয়া তো রক্তাক্ত হাতেই খাবার খেতে বসতেন এবং খেতে খেতেই ফাঁসির আদেশে সই করতেন। জিয়ার নির্দেশে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা স্বাধীন দেশের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীনতাবিরোধীদের ছেড়ে দিয়ে জিয়া প্রমাণ করেছেন, তিনি পরাজিত শক্তির দালাল ছিলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় জিয়া বিশ্বাস করতেন না। জিয়ার সাড়ে পাঁচ বছরের শাসন আমলে ২১টি ক্যু-পাল্টা ক্যু হয়। লে. কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। সার্বিক প্রেক্ষাপটে জিয়া অত্যন্ত হিংস্র ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন।
অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের ‘বাংলাদেশ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি হিসাবমতে জিয়া ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র দুই মাসের মধ্যে এক হাজার ১৪৩ জন সৈনিককে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন।
আসাদুজ্জামান আসাদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে একাধারে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ইতিহাসের এ ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। জাতির পিতাকে হত্যার পরিকল্পনা জিয়া জানতেন। জিয়া সেনাছাউনিতে বসে দলছুট রাজনীতিবিদদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেন। তিনি যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন, তেমনি অবৈধভাবে বিএনপি সৃষ্টি করেন।