জুরিবোর্ড থেকে সরে গেলেন ইলিয়াস কাঞ্চন
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ড থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তার ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি ওই বোর্ডে থাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন আরেক কিংবদন্তি শবনম।
অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন নিয়ে অনেক ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। এছাড়া ব্যক্তিগত কাজের ব্যস্ততার মধ্যে নতুন করে জুড়িবোর্ডের সদস্য হয়ে কাজ করা সম্ভব না। তাই মন্ত্রণালয়কে তার অপারগতার বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২৩ প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘জুরিবোর্ড’ পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন, সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ, চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন,অভিনেত্রী অপি করিম, সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের সভাপতি এস এম ইমরান হোসেন ও সাংবাদিক ওয়াহিদ সুজন।
অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯৭৭ সালে আলাউদ্দিন আল আজাদের ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি ‘বসুন্ধরা’ চলচ্চিত্র দিয়ে চিত্রজগতে নাম লেখান। প্রথম চলচ্চিত্রেই ইলিয়াস কাঞ্চন ব্যাপক পরিচিতি পান। এরপর সুপারডুপার ছিল ‘আঁখি মিলন’ ছবির ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এরপর ‘ভেজা চোখ’ ছবির ‘জীবনের গল্প, আছে বাকি অল্প’ গানটিও ইলিয়াস কাঞ্চনকে দর্শকের মনে অন্যভাবে ঠাঁই করে দিয়েছিল। এরপর ‘মাটির কসম’, ‘নীতিবান’, ‘সহযাত্রী’, ‘প্রেমপ্রতিজ্ঞা’, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘গাড়িয়াল ভাই’, ‘বাঁচার লড়াই’, ‘খুনি আসামি’—এমন অসংখ্য ছবি করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। ১৯৫৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার আশুতিয়াপাড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া বাংলা চলচ্চিত্রের সফল চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।