জেতা ম্যাচে অবিশ্বাস্য হার পাকিস্তানের
পাওয়ারপ্লে শেষের পরেও জয়ের সম্ভাব্যতায় দেখানো হয়েছিল পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ।
ব্যাটে-বলে সমান রান দরকার ছিল জয়ের জন্য। ১২ ওভারে ৭২ রান করে সেই লক্ষ্যে ঠিকই টিকে ছিল তারা।
পরের ৩০ বল থেকে উঠেছে মোটে ১৭ রান। উইকেট হারিয়েছে ৩টি। নাসাউ কাউন্টির বোলিং সহায়ক পিচে আরও একবার দেখা গেল বোলারদের কারিশমা।
গ্যালারি দর্শকে টইটুম্বুর। বৃষ্টি বাগড়া দিলেও নেচে-গেয়ে তারা চারপাশ মাতিয়ে রাখলেন সারাক্ষণ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠের লড়াইয়েও ছড়াল উত্তাপ। অল্প পুঁজি নিয়েও জাসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারাল ভারত। নিউ ইয়র্কে রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের জয় ৬ রানে।
নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৮১ রানের ভালো অবস্থানে থেকে ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
জবাবে ১২ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৭২। শেষ ৮ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে দরকার ছিল ৪৮ রান। তারপরও পারেনি তারা, ২০ ওভারে ৭ উইকেটে করে ১১৩ রান।
ভারতের জয়ের নায়ক বুমরাহ। ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ৩০ বছর বয়সী এই পেসার। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতেই।
এই সংস্করণে এত কম পুঁজি নিয়ে আগে কখনও জিততে পারেনি ভারত। এর আগে সবচেয়ে কম ১৩৮ রান ডিফেন্ড করেছিল তারা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০১৬ সালে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের এই ম্যাচের চেয়ে কম রান ডিফেন্ড করতে পারেনি আর কেউ। ২০১৪ আসরে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কাও ঠিক ১১৯ রান ডিফেন্ড করেছিল নিউ জিল্যান্ডকে ৬০ রানে গুটিয়ে দিয়ে।