জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে পাভেল নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন নিহতের মা পারুল বেগম। মামলার আসামিরা হলেন- মো. হাবিব, মো. হানিফ, মো. আনিছ, মো. রায়হান বাবু, মো. মিলন, মো. জহির ও অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম পাভেল তার পরিবারের সঙ্গে এক যুগ ধরে বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি (ভিকটিম) ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। মামলার আসামিরা তার (ভিকটিম) পূর্ব পরিচিত ও তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। মামলার আসামিরা বাড্ডা এলাকায় মারামারি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা পরিচালনা, মাদক বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতেন। পাভেল তাদের (আসামিদের) এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করতেন। একপর্যায়ে মামলার আসামিদের সঙ্গে তার (পাভেল) মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পাভেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন হাবিব। এই মামলায় পাভেল ১৮ দিন জেল খেটে জামিনে বের হন। পাভেল তাড়াতাড়ি জেল থেকে জামিনে বের হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন হাবিব। তাকে (পাভেল) কাছে পেলে উচিত শিক্ষা দেবেন- এই মর্মে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রচার করেন হাবিব। এতে হাবিবের ভয়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে থাকতেন পাভেল।
গত ১৪ এপ্রিল পাভেল বাসা থেকে বের হলে মামলার প্রধান আসামি হাবিব তাকে মোটরসাইকেলে করে বাড্ডা থেকে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নিয়েন আসে। ওই দিন রাতে মামলার আসামিরা পাভেলকে পল্লবীর ১২ নম্বর স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকা-১ এর পেছনে টেকেরবাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যান। আসামিরা পাভেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পাভেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি ধারাল অস্ত্রের ক্ষত-বিক্ষত আঘাত রয়েছে।