টেকনাফের উপকূলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে দালালচক্র সক্রিয়
টেকনাফের বাহারছড়া, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপে চোরাইপথে আদম পারাপারের ৭টি ঘাটে ৩৬ জন দালাল সক্রিয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহের অব্যাহত অভিযানে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার বর্তমানে অনেকটা শূন্যের কোটায়। এখন চলছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে অব্যাহত সহিংস ঘটনায় মিয়ানমার থেকে দলে দলে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। বিজিবি, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের হাতে আটক হচ্ছে। তাদের ভাষায় মানবিক সহায়তা (খাবার, ওষুধ, পানি) দিয়ে পুশব্যাক করা হচ্ছে। সীমান্তের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিরোধ সত্ত্বেও উল্লেখিত ঘাট সমূহের দালালদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে হোয়াইক্যং পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের মোহনা এবং নাফ নদীর তুলনামূলক বেশ চওড়া। এতে ইচ্ছামত অল্প সময়ের মধ্যে এপারে চলে আসার সুযোগ কম। উপরন্ত এই সীমান্তে বিজিবি, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সজাগ ও সতর্ক। তবে দালালদের কারণে পরিস্থিতি খুব দ্রুত পাল্টে গেছে। বাহারছড়া, শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং, টেকনাফ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের এনে সুযোগ বুঝে সেন্টমার্টিনদ্বীপ, শাহপরীরদ্বীপ, নয়াপাড়া, খুরেরমুখ, কাটাবনিয়া, মহেশখালীয়াপাড়া, তুলাতলী, লম্বরী, মিঠাপানিরছড়া, রাজারছড়া, শীলখালী, শামলাপুর, মনখালী, ছেপটখালী, ইনানীসহ বাংলাদেশ উপক‚লের বিভিন্ন পয়েন্টে নামিয়ে দেয়া হয়।
সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, স্থানীয় কিছু ট্রলার মালিক বিজিবি পুলিশ ও কোস্টগার্ডের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার তৎপরতা চলছে। বিশেষ করে সাবরাং ইউনিয়নের সৈকত থেকে রোহিঙ্গা নারী-শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করার ঘটনার পর প্রশাসন আরও বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে। দেশের স্বার্থে পুরো বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করে কারা এসব অবৈধ কাজের সাথে জড়িত প্রশাসনের কাছে এদের তালিকা দেয়া হয়েছে।