ঢাবির হলে গণবিয়ের আয়োজনের ঘোষণা, যা বলছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রীতিভোজের আয়োজন করেছে হল প্রশাসন।
এই অনুষ্ঠান ঘিরে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ গণবিয়ে আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যুগল যদি বিয়ে করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে শিক্ষার্থীদের এই অংশ তাদের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে হল প্রশাসনের কোনো সংযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রাধ্যক্ষ ড. ফারুক শাহ।
মূলত দীর্ঘদিনের অস্থিরতা কাটিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে ফেরাকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাতের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে প্রথম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন হলের ইংরেজি বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আল-আমিন সরকার। পরে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ব্যাপক সাড়া দেন। শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিভিন্ন শর্ত উল্লেখ করে পাত্র-পাত্রীর খোঁজ করছেন।
আল-আমিন বলেন, গণবিয়ের মূল লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগলদের সম্পর্ককে হালাল করা। তবে হঠাৎ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াকে আমরা নিরুতসাহিত করছি। ইতোমধ্যে আমাদের হল থেকে একটি বিয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি।
শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ গণবিয়ে কর্মসূচির সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, অভিভাবকহীন এসব বিয়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। একইসঙ্গে এভাবে বিয়ে হলে তা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
আরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, অভিভাবক ছাড়া কেউ যেন গণবিবাহে অংশ না নেয়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, অভিভাবকহীন বিয়ে তাসের ঘরের মত। যদি গণবিবাহের পর কারও দাম্পত্য কলুষতা প্রকাশ পায়, তাহলে এর প্রতি মানুষের ঘৃণা তৈরি হবে।
প্রাধ্যক্ষ ড. ফারুক শাহ জানান, ২২ তারিখ যেহেতু আমাদের ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে, তাই আমরা একটা ইভেন্ট রেখেছি। সেখানে বিকেলে কিছু খেলাধূলা থাকবে, সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাতে সামান্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
শিক্ষার্থীদের মানসিক ট্রমা থেকে বের করে সবার একটি মিলনমেলার উদ্দেশ্যেই ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পর একসাথ হবে। তবে গণবিয়ের বিয়ের বিষয়ে আমাদের সাথে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা আজ রাতে একটা সভা ডেকেছি। বিষয়গুলো দেখব।