নগরীতে অভিযানের পর পেঁয়াজের খোসাও নেই বাজারে
চট্টগ্রাম নগরের চৌমুহনী এলাকায় অবস্থিত চউক কর্ণফুলী মার্কেট বাজার।এক দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। তাই এ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বাজারের প্রতিটি দোকানে ছিল ঝুড়িভর্তি পেঁয়াজ। প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা।
তবে অভিযান শেষ হতেই বাজারে সেই ঝুড়িভর্তি পেঁয়াজ আর দেখা গেল না। বেলা তিনটার দিকে এই বাজারে গিয়ে অন্তত ১৫টি মুদিদোকান ঘুরে দেখা গেল, একটি দোকানেও পেঁয়াজ নেই। নেই পেঁয়াজের খোসাও। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বক্তব্য দিতে রাজি হননি কোনো ব্যবসায়ী।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ বলেন, সকালে সব দোকানেই পেঁয়াজ ছিল। আজ সকালে অভিযানের পর মজুত থাকা পেঁয়াজ সরিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারত সরকার নিজের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এমন খবর আসার পর থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম নগরের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান শুরু করে। এ সময় অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে চলে যান। অনেকে পেঁয়াজের বস্তা শ্রমিক দিয়ে সরিয়ে নেন। অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ কে ট্রেডার্সসহ চারটি আড়তে অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা দেখতে পান, ক্রয়মূল্য কম হলেও পেঁয়াজ মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন আড়তদারেরা। এ কারণে এ কে ট্রেডার্সসহ আরও চারটি আড়তকে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় আড়তে থাকা পেঁয়াজগুলো ১২০ টাকা দরে বিক্রির ঘোষণা দেন কর্মকর্তারা। তখনই প্রায় শ খানেক ক্রেতা ছুটে আসেন পেঁয়াজ কিনতে। আড়তের সামনে লম্বা লাইন তৈরি হয় ক্রেতাদের। তাঁদের একজন নগরের ইপিজেড এলাকার ক্ষুদ্র দোকানি মোহাম্মদ মোবারক উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সকালে ২০০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। এখন ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।’