চট্টগ্রাম

পুরোদমে কাজ শুরু হচ্ছে হালদা প্রকল্পের

মাঠে গড়িয়েছে হালদা প্রকল্প। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে অর্থও ছাড় হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক যোগদানের পর প্রেষণে জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। একইসাথে আউটসোর্সিংয়ে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। গত ৪ জুন হালদার ওপাড়ে রাউজানে একটি কর্মশালাও করা হয়েছে। তাতে অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার প্রমুখ।

‘হালদা নদী প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়’ নামে প্রকল্পটি গ্রহণ করে সরকার। এ প্রকল্পের মাধ্যমে হালদা নদী সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। মোট ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে হালদার দুই পাড়ে রাউজান ও হাটহাজারীর ৬টি পুরাতন হ্যাচারি সংস্কার করে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, হ্যাচারির পুকুর সংস্কার, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজের ম্যুরাল নির্মাণ, ডিমসংগ্রহকারী ও মৎস্য কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, হালদা রক্ষায় অভিযান পরিচালনা ও আইন বাস্তবায়ন, দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও গবেষণা করা হবে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তবে তখন অর্থ ছাড় দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তাতে প্রকল্প কাজে গতি ছিল না। গত কয়েক মাস আগে টাকা বরাদ্দ শুরু হলে প্রকল্প কাজে গতি আসে। ২০২৭ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, ‘প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় করা হয়েছে। প্রেষণে জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। একইসাথে আউটসোর্সিংয়ে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ধীরে ধীরে প্রকল্পের কাজে গতি বাড়ছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দুই দশক আগে হালদা নদীর পাড়ে রাউজানের বিনাজুরীর ইউনিয়নের কাগতিয়া, গহিরার মোবারকখীল ও পশ্চিম গহিরা এবং হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট বড়–য়াপাড়ায় ৬টি হ্যাচারি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণগত ত্রুটি, সময় মতো সংস্কার, তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হ্যাচারিগুলো থেকে প্রকৃত সুফল পায়নি ডিম সংগ্রহকারীরা। এর মধ্যে সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাউজানের বিনাজুরী ইউনিয়নের কাগতিয়া হ্যাচারি। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পশ্চিম গহিরা হ্যাচারিও। এ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে ডিম সংগ্রহকারীদের। বর্তমানে রাউজানের গহিরার মোবারকখীল, হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট বড়–য়াপাড়ার হ্যাচারি চালু থাকলেও নিয়মিত সংস্কারের অভাব এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সবগুলো হ্যাচারি থেকে প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না ডিম আহরণকারীরা। তাতে বিভিন্ন সময়ে মারা যায় রেণু। নতুন প্রকল্পটির মাধ্যমে এই ৬ হ্যাচারি সংস্কার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *