পুলিশ নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার তৃতীয় বিয়ে ভাঙলেন দুই স্ত্রী
নেত্রকোনা শহরের কুড়পাড় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিয়ের আসরে খাওয়া-দাওয়া চলছিল। হঠাৎ করে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হন দুই নারী। তাদের দাবিঃ তারা নতুন বরের পুরাতন স্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যে হাজির হয় পুলিশও। পণ্ড হয়ে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান।
গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা শহরের কুরপাড় এলাকায় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
বর সাজ্জাদ হোসেন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি নেত্রকোনার মদন উপজেলার মাখনা গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে।
আর স্ত্রী দাবি করা দুই নারী হলেন, পিয়া জাহান ও নওরিন হাসান নিসা। তাদের বাড়িও নেত্রকোনার মদন ও খালিয়াজুরী উপজেলায়।
এদিন পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নওরিন হাসান নিসা।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবী করা নিসা বলেন, ‘সাজ্জাদ হোসেনের সাথে গত বছরের পহেলা জুলাই আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার সাথে যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। কয়েকমাস আগে আমার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেন সাজ্জাদ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার (সাজ্জাদের) আগেরও এক স্ত্রী রয়েছে। তার সাথেও মামলা চলমান রয়েছে। আজ মঙ্গলবার জেলার শহরের কুড়পাড় ‘বিয়ে বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে তার আরেক বিয়ে চলছে। বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক আমি পুলিশ সুপার স্যারের কাছে বিয়ে বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিই। পরে পুলিশ গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। আমি তার বিচার চাই।’
সাজ্জাদের প্রথম স্ত্রী পিয়া জাহান বলেন, সাজ্জাদের সাথে আমার তিন বছর আগে বিয়ে হয়। এরপর থেকে আমরা একসাথেই ময়মনসিংহে ছিলাম। পরে সে বদলী হয়ে ধর্মপাশা চলে গেলে আমার সাথে দূরত্ব বাড়ে। বছর খানেক আগে সে আরেকজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। সেখানেও আমি উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। পরে শুনি সে তার আত্মীয় নিসাকে বিয়ে করে। এরপর আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলাটি চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার সে আরেকজনকে বিয়ে করছে শুনে হাজির হই। পরে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেই।
জানতে চাইলে বর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পিয়া জাহানকে বিয়ের করার পর বনিবনা না হওয়ায় তালাক দেওয়া হয়েছে। তার সাথে আমার মামলা চলছে। বিষয়টি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করবো। নিসা আমার আত্মীয় তার সাথে বিয়ে হয়নি। পারিবারিক দ্বন্দ্বে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছে।