জাতীয়

পুলিশের অভ্যন্তরীণ সংস্কারে গতি, পোশাক-লোগো পরিবর্তনের কাজ শেষ পর্যায়ে

পুলিশ সদর দপ্তর পুলিশের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের কাজ জোরেশোরে শুরু করেছে। আর্থিক সংশ্লেষ ছাড়া যেসব কাজ সম্ভব, সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ জেলার পুলিশ সুপার ও ওসিদের বদলি করা হয়েছে। পোশাক ও লোগো পরিবর্তনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।

পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি ও জনবান্ধব করতে অধস্তনদের দেওয়া ১১ দফা নির্দেশনা আমলে নেওয়া হয়েছে। আইন প্রয়োগ ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পুলিশ জনগণের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে, সে বিষয়ে একটি গাইডলাইনও দেওয়া হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তার মতে, ৫ আগস্টের পর পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পুলিশ সদস্যরা থানায় ফিরে আসার পর, তাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। একই সাথে, লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার, থানায় স্বাভাবিক কাজকর্ম পুনরুদ্ধার, এবং জনগণের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে আস্থা তৈরির জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলামের নির্দেশে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এর অংশ হিসেবে, পুলিশের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর, সেগুলি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ বাহিনীকে আরও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যরাও কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলমান আছে। কমিটি এসব প্রস্তাব পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

এর মধ্যে পুলিশের বর্তমান লোগো এবং পোশাক পরিবর্তনের প্রস্তাবও রয়েছে। কমিটি লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। সুপারিশ পাওয়ার পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তার মতে, সরকার ইতিমধ্যে পুলিশ সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে। পুলিশ যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই কমিশনও তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। পুলিশের কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন, আইন ও বিধিতে কোনো পরিবর্তন আনা দরকার কি না, পুলিশের আচরণে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন কি না – এসব বিষয়ে কমিশন পুলিশ সহ বিভিন্ন পক্ষের মতামত গ্রহণ করবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, পুলিশকে জনবান্ধব করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবেই এসপিসহ বিভিন্ন অপারেশনাল পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। লোগো পরিবর্তন এবং পোশাকের জন্য বিভিন্ন নমুনা তৈরি করা হয়েছে। ৬-৭ ধরনের নমুনা তৈরি করে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে। এর মধ্য থেকে দেখতে সুন্দর এবং আরামদায়ক পোশাক বাছাই করা হবে।

পুলিশের পক্ষ থেকে পোশাক ও লোগো চূড়ান্ত করার পর, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *