বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত মানুষের নেতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান শুধু যে বাংলাদেশের জনক ছিলেন তা নয় তিনি ছিলেন সারা বিশ্বেই নির্যাতিত মানুষের নেতা। বিশ্বগণমাধ্যম তাঁকে বলেছে ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ক্লাব কলেজিয়েট চিটাগং লিমিটেড আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব তুলে ধরেন।
গত ১৭ মার্চ ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ক্লাবের সিনিয়র সদস্য এবং দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু যে বাংলাদেশের জনক ছিলেন তা নয় সারা বিশ্বেই তিনি ছিলেন নির্যাতিত মানুষের নেতা। এই প্রসংগে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন নেতা যেমন–ফিদেল কাস্ত্রো, আনোয়ার সাদাত এবং বিশ্বগণমাধ্যম যেমন–দ্য গার্ডিয়ান, নিউজ উইক ইত্যাদি থেকে উদ্বৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাহাত্ম্য তুলে ধরেন। বিশেষ করে ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়ের সঙ্গেই তুলনা করা ও নিউজউইকের ১৯৭১ সালের ৫ই মার্চ ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ বলা উল্লেখ করেন।
সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট সীমান্ত তালুকদার বলেন, ক্লাব কলেজিয়েট যে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস পালন করছে তার অর্থ হলো বঙ্গবন্ধু সকল দলমত ও বিভাজনের ঊর্ধ্বে। তিনি কলেজিয়েট স্কুলে থাকার সময় কিভাবে বৈরি পরিবেশের মধ্যেও কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্ররা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করতো তার বিবরণ দেন।
ক্লাব কলেজিয়েটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন একটি বিশেষ সাংগঠনিক কর্মসূচিকে অনুসরণ করে। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে ১৪ আগস্ট যেদিনই দেশ ভাগ হয় সেদিন থেকেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে থাকেন যাতে পূর্ববঙ্গের দরিদ্র জনগণের মুখে হাসি ফোটানো যায়। তিনি শুধু নিজের জীবনকে খোয়াননি তিনি প্রায় সপরিবারে নিহত হন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা পাঠ করে শোনান বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন ক্লাব কলেজিয়েটের ইসি সদস্য মনজুর মোর্শেদ ফিরোজ। মনজুর মোর্শেদ তাঁর প্রারম্ভিক বক্তৃতায় বলেন, ক্লাব কলেজিয়েট এখন থেকে প্রতিটি জাতীয় দিবস পালন করবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।