খেলা

বড় দলগুলোকে হারাতে যে পরিকল্পনা হাথুরুসিংহের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবার সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে তারা।

যদিও বেশ কয়েকটি ম্যাচেই যেতে হয়েছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভেতর দিয়ে। সুপার এইটে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বড়।

আফগানিস্তানের সঙ্গে টাইগারদের লড়তে হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচের আগে ২০১৭ সালে তাদের টেস্ট হারানোর স্মৃতি রোমন্থন করেন হাথুরু। জানান তার কাছে আছে বড় দলকে হারানোর পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, ‘যদি আপনি ওই দল দেখেন (টেস্ট হারানো), খুবই অভিজ্ঞ ছিল তখন। তারা জানত তাদের ভূমিকা কী। (এবারও) আমাদের অনেক অভিজ্ঞ দল আছে, কন্ডিশন থেকেও সুবিধা পেয়েছি। আমাদের ভালো পরিকল্পনা আছে কীভাবে প্রতিপক্ষকে প্রতি আক্রমণ করতে হবে বল ও ব্যাটে। ’

‘কিন্তু এই ধরনের পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের অনেক বিশ্বাস দিচ্ছে। যদি আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহাসী হই এবং ভয় না পাই, তাহলে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব। আমরা সেসব নিয়ে কথা বলছি যেসব জিনিস করলে আমরা বড় দলকে হারাতে পারব। ’

বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে খেলেছে বোলারদের সাহায্য করে, এমন পিচে। কিন্তু এবার কিছুটা ব্যতিক্রম। অ্যান্টিগার পিচে রান হয় অনেক। একদিন আগেও দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে প্রায় দুইশ ছোঁয়া রান। এজন্য হাথুরুর চোখ শুরুটা ভালো করার।

তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা যেকোনো দলের বিপক্ষেই শক্তিশালীভাবে শুরু করতে চাই ব্যাটিং অথবা বোলিংয়ে। কিন্তু আপনি যেমন বললেন, অনেক জায়গায়ই পরের দিকে পিচ ব্যাটারদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। পিচ বুঝতে পারাও বেশ কঠিন। ’

‘আমরা ভেবেছিলাম সেন্ট ভিনসেন্টের পিচগুলো ভালো হবে। কিন্তু পরে সেটি অনেক কঠিন হয়ে গেছে, বোলারদের বেশি সাহায্য করেছে। শুধু স্পিন বা পেস না, দুটোই ভালো হচ্ছিল, ব্যাটারদের জন্য খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল। এজন্য আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ভালো শুরু করার, আগে ব্যাট বা বল যাই করি। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *