বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহৎ বাজার হবে
আগামীয় ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে।যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মত প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির দেশ ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডকেও বাংলাদেশ যাতে ছাড়িয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ কাজ করছে।
২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ। আর ২০৪০ সালের মধ্যে আনুমানিক মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার। কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হতে পারে।
২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ২০২৫ সালের মধ্যে কেবল লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে। বাংলাদেশে এখন জ্বালানি, পানি, লজিস্টিকস এবং পরিবহন খাতে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অবকাঠামো গড়ার সুযোগ রয়েছে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনীক শ্রেণির সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৪০ লাখে।
সরকারের নানা পদক্ষেপের সাথে সাথে বাংলাদেশকে ঘিরে আরো কিছু ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ফিকি’র সদস্যদের সেই অনুযায়ী বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার অনুরোধ করেছেনন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসাথে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে তার ভিশনের কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধির শিখরে পৌঁছাতে যেরকম অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন বর্তমান সরকার সেই কাজ ইতিমধ্যে করে দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, জ্বালানি বিদ্যুৎ, দক্ষ শ্রমিক, শিক্ষিত জনগণ সবদিকেই বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে। এখন এসব অবকাঠামো নিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে কোথায় পৌঁছাতে চান সেই কর্মপরিকল্পনাও তুলে ধরা হয়েছে বৈদেশিক বিনিয়োগ আনয়নকারী এই সংগঠনের সদস্যদের সামনে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, বৃহৎ অভ্যন্তরীণ বাজার অনেক দেশের কাছে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
নুরুল কবির বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে বলেছেন, বাংলাদেশ হবে ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল। আমরা মনে করি, ফিকি এই কেন্দ্রস্থলে পরিণত কেরতে বড় ভূমিকা রাখবে।’