ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে হাজারো দর্শক
জামালপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়াম মাঠে হয়ে গেলো ফুটবল খেলা। আর এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশ নিয়ে একটি গোল করেছেন আলোচিত ব্যক্তি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপি।
খেলাটি দেখতে হাজারো মানুষ কানায় কানায় পূর্ণ করে স্টেডিয়াম। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না সেখানে। উৎসবমুখর এমন খেলা বারবার দেখতে চায় দর্শকরা। এদিকে ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবেন বলে জানান ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে স্টেডিয়াম মাঠে জামালপুর পৌরসভা ফুটবল একাদশের সঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর থেকেই ১৪ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতার মাঠে আসতে শুরু করে ফুটবল প্রেমীরা। খেলা শুরুর আগে কানায় কানায় পূর্ণ হয় গ্যালারি। জায়গা না পেয়ে অনেকই মাঠের ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ও বাইরে থেকে খেলা দেখেন। ব্যারিস্টার সুমনের ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন এই স্টেডিয়ামে। খেলার শুরুতে উৎসুক জনতা মাঠে প্রবেশ করে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে। ম্যাচটি চলাকালীন গ্যালারিতে হাজারো দর্শকদের সুমন সুমন নামে স্লোগান দিতে শোনা যায়।
খেলাটির শুরু দিকে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির জালে একটি গোল দেয় জামালপুর পৌরসভা ফুটবল একাদশ। পরে প্রথম আংশ শেষে দ্বিতীয় অংশে মাঠে নামে ব্যারিস্টার সুমন, খেলার শেষ অংশে সুমনের পায়ে একটি গোল পায় তার দল। পরে ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয় খেলাটি।
ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, জামালপুর ফুটবলের জন্য একটি বিখ্যাত জায়গা। ফুটবল খেলায় জামালপুর বিখ্যাত। স্টেডিয়াম মাঠে অনেক মানুষের সমাগম হতে দেখেছি। আমার শখ ছিল জামালপুরে খেলতে আসার। এ ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। দুই জেলার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে দেশের ফুটবল এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমার অঙ্গীকার।
জামালপুর পৌরসভা কর্তৃক আয়োজিত প্রীতি এই ফুটবল ম্যাচটি উদ্বোধন করেন জেলার সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আবুল কালাম আজাদ। খেলাটির প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সরোয়ার হোসেন শান্ত। আর ধারাভাষ্যকার ছিলেন সোহানুর রহমান। খেলা শেষে দুই দলকে ট্রফি দেওয়া হয়।