চট্টগ্রামচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ভর্তি পরীক্ষার টাকার হিসাব চায় চবি শিক্ষক সমিতি

ভর্তি পরীক্ষায় অর্থের ব্যয়খাত ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি। একই সাথে ছাত্রলীগের লাগাতার সংঘর্ষ থামাতে প্রশাসন ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।

শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা উপাচার্য, শিক্ষক এবং একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়টিকে আইনের চরম লঙ্ঘন বলে জাতীয় সংসদে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। এই বক্তব্যকে চবি শিক্ষক সমিতি অস্বীকার করে। তাঁর এই মন্তব্যে সাধারণ শিক্ষকদের অপমান হয়। তবে গত ৪ বছর ধরে শিক্ষক সমিতিও একই প্রশ্ন উপাচার্যকে করে চলেছেন। এই টাকা কোথায় যায়? কি হয়? আমরা এর কিছুই জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঞ্চয় খাতে এই অর্থ যদি গিয়ে থাকে তাহলে আমাদের নথি দেখান।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এসবের সঙ্গে শুধুমাত্র প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাই জড়িত থাকতে পারে। কেননা সাধারণ শিক্ষকরা আয়-ব্যয়ের হিসাবও জানেন না, ভাগবাটোয়ারার হিসেব তো অনেক দূরের বিষয়। কর্তৃপক্ষ বলছে ভর্তি পরীক্ষার যে আয়, এরচেয়ে বেশি ব্যয় হয়। আমরা বলেছি যদি ঘাটতি থাকে, তহলে প্রয়োজনে আমরা হল পরিদর্শনের যে সম্মানি দেওয়া সেটা নিব না।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চেীধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হকসহ সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *