ভারত রাজনৈতিকভাবে বন্যা তৈরি করেছে
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের চলমান বন্যা ভারত রাজনৈতিকভাবে তৈরি করেছে মন্তব্য করে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদে’ সমাবেশটি আয়োজিত হয়।
সমাবেশের পর একটি সংক্ষিপ্ত মিছিল নিয়ে উপাচার্য চত্বর থেকে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশ শেষ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে রাত ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। এ সময় ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, নদী একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। তা নিজস্ব নিয়মে চলবে। সেখানে বাধা দেওয়া অপরাধ। ভরা মৌসুমে পানি না দিয়ে ভারত আমাদের খরায় রাখে। আর এখন বাঁধ ছেড়ে দিয়ে মানুষকে বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ভারত বাঁধ দিয়ে নদীশাসন করছে। নদীতে কোনো বাঁধ রাখা চলবে না। সব ভেঙে দিতে হবে। এছাড়াও, রাজনৈতিক বন্যা তৈরি করে যাদের হত্যা করা হলো, তার জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, রাজবন্দি বিনিয়ম চুক্তির অধীনে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। না দিলে ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। ভারতের আগ্রাসী আচরণের কারণে তার পার্শ্ববর্তী নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতাও তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
সমাবেশে শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী সুলতানা বলেন, এটা (বন্যা) কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এতদিন তারা মন্দির নিয়ে অনেক উদ্বিগ্ন ছিল। এখন মন্দির ডুবছে না?
এ সময় আন্তর্জাতিক পানিবন্টন চুক্তি বাস্তবায়ন করে ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমম্বয়ক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ, এ বি জোবায়ের, মহিউদ্দিনসহ আরও অনেকে।