ভারতীয় গরুর কারণে দেশি গরুর দাম কমার শঙ্কা
অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোরবানির বাজারে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে গরু প্রবেশের শঙ্কা প্রকাশ করছেন খামারিরা। আর এতে নিজেদের লোকসান হওয়ার আশঙ্কার কথাও বলছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক খামারি বলেন, ফেনীর পরশুরামের বীরচন্দ্র নগর, মধুগ্রাম, জয়চাঁদপুর ও বাঁশপদুয়া সীমান্ত, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া সীমান্তের কিছু এলাকা দিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ভারতীয় গরু প্রবেশ করছে। এভাবে চলতে থাকলে কোরবানির বাজারে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন।
এদিকে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু প্রবেশ বন্ধে নজরদারি বাড়াতে বিজিবিকে আহ্বান জানিয়েছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। গত ১২ মে (রোববার) নিজ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু আছে। অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে যেন কোনো গরু না আসে সেদিকে নজর দিতে হবে। সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধে কাজ করবে বিজিবি।
সভায় তিনি আরও বলেন, কোরবানির ঈদে গরু চুরি অনেকাংশেই বেড়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গরু চুরি বন্ধে সর্বদা তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি গরুর মালিককেও সচেতন হতে হবে।
সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধে নজরদারির বিষয়ে জানতে বিজিবির (৪ বিজিবি) ফেনী ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজাকে ফোন করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, ফেনীর ১০২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার মধ্যে দুই স্থানে ৫৭৯ ও ৩৩৪ মিটার সীমানা অরক্ষিত।