পার্বত্য চট্টগ্রাম

যাতায়াতের দ্বার খুলছে রামগড় ইমিগ্রেশন

আগামী ১৪ আগস্ট খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হচ্ছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র’র স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ২৯ জুলাই তারা পেয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৪ আগস্ট রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম, অর্থাৎ যাত্রী পারাপার কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অংশে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘যাত্রী পারাপার কার্যক্রম শুরু করতে বাংলাদেশ অংশে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় অংশে কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় এতদিন ইমিগ্রেশন চালু করা যায়নি। এখন তারা প্রস্তুতি শেষ করেছে। আমরাও প্রস্তুত আছি।’ তিনি বলেন, গত বছর ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি রামগড় স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করেন। এ ভবনে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার সব ব্যবস্থা রয়েছে। ১৪ আগস্ট ভারতের সাব্রুম স্থলবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা হবে। বাংলাদেশ অংশে রামগড় স্থলবন্দরে ভারতীয় যাত্রীদের স্বাগত জানানো হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাত্রী পারাপার শুরুর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এখন চালু করতে প্রস্তুত নয় রামগড় ও সাব্রুম স্থলবন্দর। রামগড়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর কাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে রামগড় স্থলবন্দরের সংযোগ সড়ক বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়কের কাজ চলছে। ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কের কাজ করছে। ২০২৫ সালের জুনে এ কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা।

রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম জানান, রাস্তা ও অবকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হতে এক-দেড় বছর লেগে যাবে। সাব্রুম স্থলবন্দরেও একই অবস্থা। সেখানেও অবকাঠামোর কাজ চলছে। দুই দেশের চলমান নির্মাণকাজ শেষ হলেই স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহন বা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

এদিকে, ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠির প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার রামগড় স্থলবন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। তিনি ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

সভায় রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সরওয়ার আলম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, অর্থ ও প্রশাসন মো. মুছা, সদস্য (যুগ্ম সচিব) বি এম আতিকুর রহমান, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. মো. হারুন অর রশিদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাসান আলী ও সহকারী কমিশনার, কাস্টমস ও ভ্যাট ওমর কাওছার ঢাকা হতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, ৪৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ, থানার অফিসার ইনচার্জ দেব প্রিয় দাশ, রামগড় স্থলবন্দরের ইনচার্জ মো. আমান উল্লাহ, ইমিগ্রেশন অফিসার মো. মুনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এস এম মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *