যেভাবে শেষ বিদায় জানানো হচ্ছে ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জন্য দেশটির কয়েকটি নগরীতে শোক মিছিল ও জানাজার আয়োজন করা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, প্রথম শোক মিছিলটি শুরু হয় মঙ্গলবার (২১ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় (জিএমটি ০৬:০০) উত্তরপশ্চিমের নগরী তাবরিজে।
গত রোববার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গে থাকা মোট নয়জন।
সেদিন তারা আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় আরাস নদীর ওপর একটি বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধনের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর তাবরিজে ফিরছিলেন। ঘন কুয়াশার মধ্যে হেলিকপ্টারটি পার্বত্যাঞ্চলে দুর্ঘটনায় পড়ে বলে জানান ইরানি কর্মকর্তারা।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে সোমবার মৃতদেহ উদ্ধারের পর সেগুলো তাবরিজে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়, যা মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে।
নির্বাহী সম্পর্ক বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মহসেন মনসুরি আইআরআইএনএন কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাবরিজ থেকে রাইসির মৃতদেহ নেওয়া হবে শিয়া মুসলমানদের পবিত্র নগরী কোমে। সেখানে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আরেকটি শোক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
কোম থেকে রাইসি ও অন্যান্যদের মৃতদেহ নেওয়া হবে রাজধানী তেহরানে। সেখানে বুধবার একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান হবে বলেও জানান মনসুরি। তেহরানে রাইসি এং অন্যান্যদের জানাজা পড়াবেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
বুধবার (২২ মে) ইরানে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার সকালে রাইসির মৃতদেহ দক্সিণ খোরাসান প্রদেশের রাজধানী বিরজান্দে নেওয়া হবে বলে জানান মনসুরি। যেখানে প্রয়াত রাইসি সম্প্রতি ইরানের নেতৃত্বের উপর নজরদারি করা দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী পর্ষদ ‘অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস’ এর প্রতিনিধি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রাইসিকে তার নিজের শহর মাশহাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাফন করা হবে।
১৯৬০ সালে মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন রাইসি। সেখানে তিনি আস্তান-ই কুদস-ই রাজাভি নামে একটি প্রভাবশালী দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করতেন। মাশহাদে অষ্টম শিয়া ইমাম রেজার মাজার রয়েছে এবং রাইসির দাতব্য সংস্থা থেকে ওই মাজারের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।