চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম

রাঙামাটি শহর সিসিটিভির আওতায় আসছে

রাঙামাটিতে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে রাঙামাটি শহরকে সংঘাতমুক্ত রাখতে সকল সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মানুষকে সচেতন করে গুজব প্রতিরোধে প্রশাসনকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া পুরো শহর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং সহিংসতার ঘটনায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: এরশাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, জেলা সিভিল সার্জন ডা: নুয়েন খীসা, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারন সম্পাদক এড. মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা জামায়াতের আমির মো: আব্দুল আলীম, রাঙামাটি আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজিব চাকমা, সিএনজি অটো রিক্সা মালিক সমিতির সভাপতি মো: আলী বাবর, কাঠালতলী মৈত্রি বিহারের সাধারন প্রবীর চন্দ্র দেওয়ান, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক মো: নুর হোসেন, জেলা রাজবনবিহারের সাধারন সম্পাদক অমিয় খীসা, জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন ও চালক কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহ সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশীদ, বনরুপা মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: আইয়ুব চৌধুরী প্রমুখ।

সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২০ তারিখে রাঙামাটিতে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে তা কারো কাম্য ছিল না। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা চাই রাঙামাটিতে সকল সম্প্রদায় সম্প্রীতির মনোভাব নিয়ে মিলেমিশে থাকুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *