রাঙামাটিতে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীকে গণপিটুনি
রাঙামাটি জেলা শহরের চম্পকনগর এলাকায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে জেলা শহরের চম্পকনগর বিপিডিবি রেস্ট হাউজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তির নাম বাচ্চু মিয়া (৫০)। তিনি পৌর এলাকার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকলেও মূলত সে মাগুরা জেলার বাসিন্দা। ২০-২৫ বছর থেকে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার। বাচ্চু ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে জেনেছে পুলিশ। গণপিটুনির পর পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাচ্চুকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, গণপিটুনির শিকার বাচ্চু মিয়া ভাঙাড়ি মালামাল বেচাকেনা করেন।
রাঙামাটির কোতোয়ালী থানার ওসি মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘আটক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা তদন্ত করে জেনেছি তিনি মাগুরা জেলার বাসিন্দা এবং দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে তার সঙ্গে পরিবারের কোনও যোগাযোগ নেই। ব্যক্তিগত জীবনেও অবিবাহিত। আমরা এ ব্যাপারে আরও তদন্ত করছি, তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’
রাঙামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ বলেন, ‘চম্পকনগর এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক সন্দেহভাজন আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
এদিকে, গুজব প্রতিরোধে এসব বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে যাচাই-বাছাই করা ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।